গাজীপুরের বাসন থানায় আটক হওয়া এক শ্রমিক নেতাকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন বিক্ষুব্ধ পোশাক শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে প্রায় কয়েক হাজার শ্রমিক এসে থানা ঘেরাও করলে শ্রমিক নেতাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কারখানার সামনে থেকে বেশ কয়েকজন এসে শ্রমিক নেতা আল আমিনকে তুলে নিয়ে যায়। পরে আল আমিনের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তবে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। সেই খবরেই থানা ঘেরাও করেন শ্রমিকরা।
ছাড়া পেয়ে শ্রমিক নেতা আল আমিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল এলাকার বেশ কয়েকজন, যারা নিজেদের সমন্বয়ক দাবি করে। সবশেষ বৃহস্পতিবার বাজার থেকে তুলে নিয়ে মৃত্যুর হুমকি দেয়। এরপর ছুরির মুখে সঙ্গে থাকা দুটি মোবাইল এবং মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশ ডেকে তাকে তুলে দেয়।
আল আমিনের দাবি, অভিযুক্তরা তাকে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে এলাকায় পরিচিতির চেষ্টা করছে। যদিও তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয় বলে জানান।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত 'অভ্যুত্থানকারী ছাত্র শ্রমিক জনতা' নামের সংগঠনের নেতারা জানান, তাদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। শ্রমিক নেতা আল আমিন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন।
থানা ঘেরাও করে আসামি ছাড়িয়ে নেয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সংগঠনটির নেতারা বলছেন, একটি মহল শ্রমিকদের উসকে দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় শ্রমিক নেতা আল আমিনকে শিগগিরই গ্রেফতারের দাবিও জানায় সংগঠনটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) জানান, খবর পেয়ে আল আমিনকে থানায় আনা হয়। পরবর্তীতে জুলাই আন্দোলনে গণ্যহত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আগে শ্রমিকরা থানা ঘেরাও করে তাকে ছাড়িয়ে নেন।