সেনাবাহিনীর পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে ভুয়া ওয়ারেন্ট অফিসার ফয়সাল আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। এসময় তার কাছ থেকে ২টি মোবাইল ফোন, ৬টি সিম কার্ড, নগদ ৩৮ হাজার ৮২০ টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ভুয়া সেনা সদস্য পরিচয়দানকারী ফয়সাল আহমেদ নরসিংদী জেলার মেহেরপাড়া গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে ।
সোমবার (৩০ জুন) সেনাবাহিনীর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, রোববার (২৯ জুন) দিবাগত রাতে কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের নাওড়া আড়পাড়া গ্রাম থেকে ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত একমাস আগে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের নাওড়া আড়পাড়া গ্রামের নায়ন মিয়ার মেয়েকে দেখতে আসে নরসিংদী জেলার মেহেরপাড়া গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে ফয়সাল আহমেদ। পরে ফয়সাল নিজেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে নায়ন মিয়ার মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় সে সেনাবাহিনীর পরিচয়পত্রের একটি সফট কপি প্রদর্শন করেন।
পরে রোববার (২৯ জুন) রাতে শ্বশুরবাড়িতে এলে আর্থিক সংক্রান্ত একটি বিরোধের সৃষ্টি হয় হলে ফয়সালের কথায় স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহ হলে তাকে আটক করে।
সংবাদ পেয়ে কাশিয়ানী আর্মি ক্যাস্পের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ফয়সাল আহমেদকে আটক করে ও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেনাবাহিনীর ভুয়া পরিচয় দিয়ে বিয়ে করেছে বলে স্বীকার করে। যৌথবাহিনী এসময় তার কাছ থেকে ২টি মোবাইল ফোন, ৬টি সিম কার্ড, নগদ ৩৮ হাজার ৮২০ টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, শশুর বাড়ির লোকজন তার পরিচয়পত্র ও কর্মস্থল সম্পর্কে জানতে চাইলে তার অসঙ্গতিপূর্ণ কথাবার্তায় সন্দেহ হয়।
প্রতারক ফয়সাল নিজেকে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার পরিচয় দিয়ে মুঠোফোনে উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক করেন। এক পর্যায় ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে গোপনে ২৫ মে কোর্ট ম্যারেজ করে। এরই মধ্যে ওই ছাত্রীর বাবার কাছ থেকে নানা অজুহাতে সাড়ে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পুনরায় টাকা নিতে শ্বশুর বাড়িতে আসে ভুয়া সেনাকর্মকর্তা ফয়সাল।
পরে যৌথবাহিনী ফয়সাল আহমেদকে কাশিয়ানী সেনা ক্যাম্পে নিয়ে আসে সেখানে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কাশিয়ানী থানায় হস্তান্তর করে।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হবে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।