কাপাসিয়ায় ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত চাষিরা

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ১১টি ইউনিয়নে বর্তমানে আমন ধানের চারা রোপণ করা শুরু হয়েছে। ফসলের মাঠজুড়ে বোরো ধানের আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ঘুরিঘুরি বৃষ্টি আর প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে ধানের চারা রোপণ করতে দেখা গেছে স্থানীয় চাষিদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় কৃষকরা জমিতে হাল চাষ করছেন। কেউ কেউ জমিতে গরু-মহিষ দিয়ে মই দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ধানের চারা রোপণ করছেন। কেউ আবার অন্যের জমিতে কাজ করছেন। কেউ আবার ধান ক্ষেতের আগাছা পরিস্কার কাজে ব্যস্ত। 

কাপাসিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি আগস্ট মাস পর্যন্ত মোট রোপা আমন ধান আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ১১৬৪০ হেক্টর। এ পর্যন্ত ৮৬৪৫ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ হয়েছে। আবাদের কার্যক্রম চলছে। কৃষি অফিস থেকে উপজেলার ২ হাজার কৃষকের মাঝে সার, বীজ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে স্থানীয় চাষিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে এবং সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।

কেন্দুয়াব গ্রামের কৃষক ইছাহাক হোসেন জানান, আমরা কৃষি অফিসের সহযোগিতা ছাড়াই ধানরোপনের কাজ করে যাচ্ছি। কৃষি অফিস থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় সহযোগীতা দিলে আরো বেশি ফলন পাব।

 

বীর উজলী ব্লগের কৃষক আমির হোসেন জানান, আমরা কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও নির্দেশনায় ধানের আবাদ শুরু করেছি। পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিগত বছরের ন্যয় এবারও ধানের বাম্পার ফলন হবে আশা করা যাচ্ছে।

কাপাসিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আউলিয়া খাতুন জানান, প্রতিবছরই উপজেলায় ধানের আবাদ ভালো হয়ে থাকে। সেই সাথে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে থাকে। আমরা আশা করছি, এই মৌসুমেও স্থানীয় চাষিরা ধান আবাদে লাভবান হবেন। তাছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে স্থানীয় কৃষকদের ধান আবাদ করতে উৎসাহী হতে এবং দক্ষ করে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বলেন, উপজেলার ৩৩ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করছে। 

উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. আয়নাল হক জানান, প্রতিটি ব্লকে সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের ধান রোপনের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে পতিত জমিগুলোকে চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়াসহ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে কৃষি অফিস ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি ও পরিবেশ অনূকুলে থাকলে এবারও ধানের বাম্পার ফলন হবে।