হত্যার সাড়ে ৩ বছর পর আসামি গ্রেপ্তার করে সিআইডি টিম

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের চর মোকুড়ী গ্রামের খলিল শেখ ওরফে খুলু (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যার ঘটনার প্রায় সাড়ে ৩ বছর পর নিবিড় তদন্ত করে মো. মিরাজ শেখ (২৭) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে রাজবাড়ী সিআইডি টিম।

সোমবার (২৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের ভাগলপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি টিম। পরে তাকে দুপুরে আদালতে তোলা হলে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।

গ্রেপ্তার মিরাজ শেখ গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের ভাগলপুর এলাকার মোঃ হারুন শেখের ছেলে।

সিআইডি জানায়, গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের চর মৌকুড়ী গ্রামে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন খলিল শেখ ওরফে খুলু। ২০২২ সালের ২০ মার্চ রাত সাড়ে ৭টার দিকে এশারের নামাজের আজান দিলে নামাজ পড়ার জন্য বাড়ির থেকে মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হন।এরপর তিনি আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। ওই দিন অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা চর মৌকুড়ী গ্রামের কাদেরিয়া মসজিদের পাশে খলিল শেখকে (৬০) নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করে। ওই দিন রাত ৮টার দিকে চর মৌকুড়ী এলাকায় নিহতের নিজ কলা বাগানে মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা।পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২১ মার্চ নিহত খলিল শেখের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গোয়ালন্দ ঘাট থানার জিআর ২৬/৯৮। শুরুতে মামলাটি গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে মামলার বাদি নাজমা বেগমের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ১৩ জুন তারিখে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে নির্দেশে মামলার তদন্তভার সিআইডির ওপর ন্যাস্ত হয়। পরে মামলাটি নিয়ে নিবিড় তদন্ত শুরু করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। এর মধ্যে তদন্তের সময় অনেক গড়িয়ে যায়। তদন্ত কাজ চলমান থাকে। তদন্তের এক পর্যায়ে সিআইডি রাজবাড়ী টিম ২৫ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে  হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত প্রধান আসামি মো. মিরাজ শেখকে গ্রেপ্তার করে।

রাজবাড়ী সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আমানুল্লাহ আমান বলেন, গ্রেপ্তার মিরাজ শেখকে দুপুরে রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য প্রদান করে। যা সিআরপিসি ১৬৪ ধারা অনুযায়ী দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট লিপিবদ্ধ করেন। পরবর্তীতে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।