ফরিদপুরে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. ওয়াজেদ শেখ (৭৩) নামে এক বৃদ্ধকে জুতার মালা পড়িয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সমীর কুমার দাস। এর আগে গতকাল বিকেলে শিশুটিকে ধর্ষণের সময় বৃদ্ধকে হাতে-নাতে স্থানীয়রা আটক করে গলায় জুতার মালা পরিয়ে বেঁধে রাখে।
পরে ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ৯৯৯-এর মাধ্যমে ফোন দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। বৃদ্ধ ওয়াজেদ শেখ ফরিদপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা। ভুক্তভোগী শিশুটির সাথে ওই বৃদ্ধের এলাকায় নানা-নাতি সম্পর্ক বলে জানা গেছে।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির মা অন্যের বাড়িতে কাজে যায়। এই সুযোগে টাকার লোভ দেখিয়ে ফুসলিয়ে বাড়ির পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার সময় ওই এলাকার এক ব্যক্তি দূর থেকে ঘটনাটি ভিডিও করেন। এ সময় লোকজনের সহযোগিতায় বৃদ্ধ ওয়াজেদ শেখকে হাতে-নাতে আটক করে। এ সময় তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে বেঁধে রাখে এলাকাবাসী।
পরে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে ওই বৃদ্ধকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় রোববার দিবাগত রাতে শিশুটির মা বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আজ দুপুরে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বাদী শিশুটির মা জানান, আমি ২ সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই থাকি এবং একটি বাসায় কাজ করি। অন্যত্র কাজের সুবাদে বাড়িতে না থাকায় মেয়েকে একা পেয়ে টাকার লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করে ওয়াজেদ শেখ। ঘটনাটি বিকেলে আমাকে মোবাইলে জানালে ছুটে গিয়ে দেখি মেয়ে কাঁদছে। তিনি ধর্ষণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক সমীর কুমার দাস জানান, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই বৃদ্ধকে আটক করে থানায় আনা হয়। শিশুটির মা মামলা করেছেন। আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। শিশুটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার থেকে (ওসিসি) চিকিৎসা নিয়েছে।