৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস পরীক্ষায় রাজবাড়ীর আপন ২ বোন ডা. সিলমা সারিকা শশী এবং ডা. সিলমা সুবাহ আরশি স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারি সার্জন পদে চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। বিসিএসে একসঙ্গে ২ বোনের সাফল্যে আনন্দে ভাসছে পরিবারটি।
শশী ও আরশি রাজবাড়ী পৌরসভার ভবানীপুর নিবাসী রাজবাড়ী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আক্কাস আলী মোল্লা ও বালিয়াকান্দির মীর মশাররফ হোসেন কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মালেকা আক্তার শিখা দম্পতির মেয়ে এবং রাজবাড়ি সরকারি কলেজের সাবেক ক্রীড়া শিক্ষক মরহুম আব্দুল গফুর সাহেবের নাতনি।
তারা রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান পিয়াল এবং রাজবাড়ি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির মো. মাহমুদুল হাসান তমালের ভাগ্নি। শশী ও আরশিরা ৩ ভাইবোন। তাদের একমাত্র ভাই আশিক ইলাহি আলিফ রাজবাড়ী সরকারি সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
জানা গেছে, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত সিলমা সারিকা শশী ও সিলমা সুবাহ আরশি ২ জনই ২০১৫ সালে রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি এবং ২০১৭ সালে রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন।
এরপর সিলমা সারিকা শশী ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ এবং সিলমা সুবাহ আরশি ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে তারা ২০২২ সালে এমবিবিএস পাশ করেন। এরপর তারা এক ইন্টার্নি করেন। পরে তারা ২ জনই বিসিএসের প্রস্তুতি নেন এবং ৪৮তম বিসিএস পরীক্ষা দেন।
শশী ও আরশির বাবা রাজবাড়ী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আক্কাস আলী বলেন, আমার ২ মেয়ে ছোটবেলা থেকেই অনেক মেধাবী ছিল। তাদের স্বপ্ন ছিল, বড় হয়ে চিকিৎসক হবে। সেই লক্ষ নিয়ে তারা পড়ালেখা করেছে। আমি এবং তাদের মা আমরা দুজনই আমার ২ মেয়েকে মানসিক ভাবে সবসময় সাপোর্ট করেছি।
তারা ২ বোনই একই বয়সী হওয়ায় এসএসসি ও এইচএসসি একই স্কুলে একই সাথে পড়েছে। সেখানে তারা ২ জনই জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করে। পরে তারা বিসিএসের প্রস্তুতি নিয়ে ৪৮তম বিসিএস পরীক্ষা দেয়।
গত বৃহস্পতিবার তাদের ফলাফল দিয়েছে। তারা দুজনই স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারি সার্জন পদে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছে। তাদের জীবনের প্রথম বিসিএস পরীক্ষা ছিল এটি। আমি আমার ২ মেয়ের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।
শশী ও আরশীর মামা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান পিয়াল বলেন, আমার ২ ভাগ্নির একসাথে বিসিএস জয়ে আমরা অনেক আনন্দিত। তারা যেন সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে পারে সেই প্রত্যাশা রইলো।
তাদের এই সাফল্যে পরিবারের পাশাপাশি গ্রামবাসীও আনন্দিত।