মুন্সীগঞ্জে ৯১০ কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

রবি মৌসুমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯১০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে সদর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে এসব বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুল জান্নাত। সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. হাবিবুর রহমান। সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. হুমায়ুন কবির।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মু. মুছাব্বেরুল ইসলাম ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজানা আক্তার। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রিয়াসাত সাদাত হোসেন।


বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। কৃষকদের উৎসাহিত করতে এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। রবি মৌসুমে সরিষা, মসুর, গমসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে এ সহায়তা কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় কমাবে এবং ফলন বৃদ্ধি করবে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলার ৯১০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে গম, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, মসুর ও খেসারি ফসলের বীজ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী দিনে কৃষকদের মাঝে ১ কেজি করে সরিষা বীজ, ৫ কেজি করে খেসারি বীজ ও ৫ কেজি করে মসুর বীজ বিতরণ করা হয়।

এছাড়া ৯১০ জন কৃষকের মধ্যে ১০ কেজি করে ডিএপি সার ও ১০ কেজি করে এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে। মোট ডিএপি সার বিতরণ করা হয় ৯ হাজার ১০০ কেজি এবং এমওপি সার ৯ হাজার ১০০ কেজি।

 আলোচনায় বক্তারা আরও বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেউ যেন অতিরিক্ত দামে সার না কেনে। কোনো ডিলার যদি বেশি দামে বিক্রি করে, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সার বিক্রিতে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকর আছে বলেও তারা সতর্ক করে দেন।

অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি ফাতেমা তুল জান্নাত কৃষকদের হাতে বীজ ও সার তুলে দেন এবং টেকসই কৃষি উৎপাদনে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।