আড়াইহাজারে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন নজরুল ইসলাম আজাদ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন নজরুল ইসলাম আজাদ। তাকে মনোনয়ন দেওয়ায় গতকাল রাতে উপজেলার প্রতিটি এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীরা মিষ্টি বিতরণ করেছেন।  

নজরুল ইসলাম আজাদ আছেন বলেই বিএনপি ১৭ বছর ধরে আড়াইহাজারে টিকে আছে। এ মন্তব্য বিএনপির তৃণমূলের কর্মীদের।

তারা বলেন, ২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার পর আওয়ামী লীগ শত শত মানুষকে খুন করে, শত শত মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়ে দেশকে নৈরাজ্যের পথে ঠেলে দেয়। এরপর ১৭ বছর চলে আওয়ামী লীগের দুঃশাসন। 

২০০৮ সালের নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু। বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকার প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় ছিল। নজরুল ইসলাম বাবু পরপর ৪ বার এমপি নির্বাচিত হন।

টানা ১৭ বছর বিএনপি নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের দেওয়া মিথ্যা মামলা ও হামলার শিকার হয়ে যখন নিরুপায় ও কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছিলেন, তখন বিএনপির বড় বড় নেতারা সাধারণ কর্মীদের খোঁজখবর পর্যন্ত রাখেননি। ঠিক তখনই আড়াইহারের বিএনপির হাল ধরেন নজরুল ইসলাম আজাদ।

বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের দ্বারা হামলায় আহত বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের নেতাকর্মীদের চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহন করেন নজরুল ইসলাম আজাদ। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এর মধ্যে আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জুয়েল আহমেদ বেশ কয়েকবার ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের দ্বারা গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এর চিকিৎসার সকল ব্যয় ভার বহন করেন নজরুল ইসলাম আজাদ।

এছাড়া হাইজাদী ইউনিয়ন যুবদলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রানা পেশায় একজন দলিল লেখক। তিনিও বেশ কয়েকবার তার কর্মস্থলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা গুরুতর অভাবে আহত হন। তাছাড়া ১৭ বছরে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। নজরুল ইসলাম আজাদ সকলের চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহন করেন।

পাশাপাশি নজরুল ইসলাম আজাদ স্থানীয় নেতাকর্মীদের মামলার সব খরচ বহন করেন এবং স্বশরীরে জেলগেটে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নেন এবং দেখা করেন।

নেতাকর্মীদের জামিন করানোর সকল খরচ নজরুল ইসলাম আজাদ বহন করেন। পুলিশের দেওয়া নাশকতার মামলায় তিনি নিজেও গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘ দিন কারাবরণ করেন। ওই সময় বিএনপির সাবেক এমপিসহ উচ্চ পর্যায়ের কোন নেতাকে সাধারণ কর্মীদের খোঁজখবর নিতে দেখা যায়নি।

তাই আড়াইহাজারের বিএনপির সমর্থকরা বলছেন, নজরুল ইসলাম আজাদ আছেন বলেই বিগত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের মাঝেও বিএনপি টিকে আছে। তা না হলে আড়াইহাজার থেকে এতদিনে বিএনপি বিলুপ্ত হয়ে যেতো।

নজরুল ইসলাম আজাদ বর্তমানে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।