ঢাকা-টাঙ্গাইল ও যমুনা সেতু মহাসড়কে চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ এক তরুণী ৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। নিহত যাত্রীর নাম মীম আক্তার (২২)।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত মীমের স্বামী মোহাম্মদ আলী জানান, তারা ঢাকার তুরাগ এলাকায় থাকেন। মীমের দাদার মৃত্যুর খবর পেয়ে গত ১২ নভেম্বর রাতে তারা পাবনার বেড়া উপজেলায় যাচ্ছিলেন। তাদের বাস মহাসড়কের টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাঐখোলা এলাকায় আসার পর বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
এই আগুনে তিনি সামান্য দগ্ধ হলেও মীমের শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। প্রথমে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মীমকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে টাঙ্গাইলের বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার পর তারা জানতেন না কেউ আহত হয়েছেন। ঘটনার পর সব যাত্রী চলে যান। ২ দিন পর জানতে পারেন মীম নামের এক যাত্রী আহত হয়েছেন। তিনি পাবনার বেড়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথমে চিকিৎসা নেন। পরে ঢাকায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নেন।
আগুনের ঘটনায় গত ১৩ নভেম্বর গোড়াই হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
ঢাকার শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মারুফা নিহত বাসযাত্রী মীমের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠান। বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনেরা মৃতদেহ গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে নিয়ে যান। মীমের বাড়ি পাবনার বেড়া উপজেলার চর প্যাচাকোলা গ্রামে।
মীমের চাচা সাইদুল ইসলাম বলেন, গত ৩ মাস আগে মীমের বিয়ে হয়। সে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে ডিপ্লোমা কোর্স করছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ নভেম্বর রাত ১টার দিকে ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাঐখোলা এলাকায় চলন্ত অবস্থায় যাত্রীবাহী ওই বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তখন পুলিশ সাংবাদিকদের জানিয়েছিল, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।