কুষ্টিয়ায় ট্রাক থামিয়ে ডাকাতি, চালককে কুপিয়ে জখম

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানা এলাকায় মহাসড়কে ট্রাক থামিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন ট্রাকচালক আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের শান্তিডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ট্রাকচালক আলমগীর হোসেন যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর এলাকার সাহেব আলী মরলের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, যশোর থেকে শুঁটকি মাছবোঝাই একটি ট্রাক রংপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পথে শান্তিডাঙ্গা এলাকায় পৌঁছালে একদল মুখোশধারী ডাকাতরা ট্রাকটি থামিয়ে চালক আলমগীর হোসেনকে মারধর ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৮শ টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। আরও টাকার দাবিতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে গুরুতর জখম করা হয়। এ সময় চালকের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ আহত অবস্থায় ড্রাইভার আলমগীর হোসেনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এখন তিনি আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
 
আহত ড্রাইভার আলমগীর হোসেন বলেন, রাতে ঘন কুয়াশার কারণে কিছু দেখা যাচ্ছিল না। খুবই আস্তে গাড়ি চলছিল। ১০ হাত দূরে গাড়ি যাচ্ছিল। আমরা সবাই সিরিয়ালে যাচ্ছিলাম। আর মালবাহীগুলো রাতেই যায়। সিরিয়ালে যেতে যেতে শেখপাড়া পাড় হয়ে আসার পরে মুধুপুর ও শেখপাড়া মাঝে একটা মাঠ আছে সেখানে আমার কয়েকটা আগের একটা গাড়ি আড়াআড়ি করে দাঁড় করা ছিল। যার কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে আমরা সবাই সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমার আগে মিনিমাম ২০টি গাড়ি ছিল। আমার পিছনে আরও ৫০টি গাড়ি আছে। এক লোক গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় আমার গাড়ির দরজার কাছে এসে আমাকে মুখ খুলতে বলে। আমি না খুললে তাদের দরজায় টানাটানিতে দরজা কোনোভাবে খুলে যায়। তারপর তারা আমার কাছে যা আছে দিতে বলে। তাদের কথা না শুনে কিছু না দিলে আমাকে হাতে ও ঘাড়ে কোপ মারে। আমার কাছে থাকা ৮/৯’শ টাকা তাদের দিয়ে দিয়েছি। পরে ডাকাতরা আমাকে ছাড়লে আমি গাড়ি সামনে নিয়ে যেখানে পুলিশরা ডিউটি করে সেখানে যেয়ে তাদের সাহায্য নেই। পুলিশ যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে আমাকে। তাদের গাড়িতে করে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

ইবি থানার ওসি তদন্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ড্রাইভার আমাদের কাছে আসার সাথে সাথেই আমরা তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়ে এসেছি। রাতে ঘন কুয়াশা হওয়ার কারণে আমরা সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই তারা কুয়াশার ভেতরে লুকিয়ে যায়। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে। আমরা অচিরেই একটা ভালো সংবাদ দিতে পারব।