কুষ্টিয়া সদরে ফ্রিজে কোরবানির গোশত রাখা নিয়ে ভাতিজার হাতে চাচা বাদশা পরামানিক (৫০) খুন হয়েছেন। রোববার (১৬ জুন) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনয়নের হাটশ হরিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। চাচার ফ্রিজে ভাতিজার কোরবানির গোশত রাখাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে চাচাকে কুপিয়ে হত্যা করে ভাতিজা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা।
নিহত বাদশা পরামানিক হাটশ হরিপুর গ্রামের ভাদু পরামানিকের ছেলে। অভিযুক্ত মাসুদ (৪০) সুলাইমান ভোলার ছেলে। নিহত বাদশা মাসুদের আপন চাচা। তারা দুজনই হকারি ব্যবসা করতেন।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চাচা বাদশার ফ্রিজে তার ভাতিজা রান্না করা সেমাই রেখেছিল। সেই সেমাই নিতে গেলে চাচা তার ভাতিজাকে বলে 'এখন কারেন্ট নেই। ফ্রিজ খোলা যাবে না। এছাড়া কোরবানির মাংস রাখা যাবে না। এতে ভাতিজা ও চাচার মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে চাচাকে কুপিয়ে হত্যা করে ভাতিজা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা বলেন, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে ভাতিজার হাতে চাচা হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। চাচার ফ্রিজে ভাতিজার সেমাই ও কোরবানির গোশত রাখাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে চাচাকে কুপিয়ে হত্যা করে ভাতিজা। অভিযুক্ত ভাতিজা পলাতক রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।