‘ডানা’র প্রভাবে সাতক্ষীরার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবে বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাত থেকে সাতক্ষীরায় বৃষ্টি হচ্ছে এবং নদ ও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

তথ্য মতে, শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় এলাকার কৈখালী, গাবুরা, সোরা, লেবুবুনিয়া, নাপিতখালী, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী, রমজাননগরসহ বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি বিভাগের আওতাধীন জেলায় ৬৮৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি পয়েন্টের সাড়ে চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

সাতক্ষীরার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম বলেন, চারপাশে কপোতাক্ষ নদ ও খোলপেটুয়া নদী দ্বারা বেষ্টিত তার গাবুরা ইউনিয়ন। গাবুরা, নাপিতখালী, জেলেখালী, তিন নম্বর পোল্ডারসহ বিভিন্ন এলাকায় উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। তবে সাগর উত্তাল ডানার প্রভাবে কপোতাক্ষ নদ ও খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়েছে।

ছবি: খবর সংযোগ

শ্যামনগর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো.শাহিনুল আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপজেলার সরকারি ১০২টিসহ মোট ১৬২টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে। জানমালের নিরাপত্তার জন্য ২ হাজার ৯৮০ জন সিপিপি সদস্যসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বিভাগ-১ নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন জানান, তার আওতাধীন ছয়টি পয়েন্টে আড়াই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। তাছাড়া পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ, জিও ফিল্টার, জি পলেস্টার মজুদ রাখা আছে। যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটেও তৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বিভাগ-২ নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত রয়েছেন।