মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেল মেয়ে, দুশ্চিন্তায় বাবা

সাতক্ষীরার কলারোয়ার বোয়ালিয়া গ্রামের মেধাবী ছাত্রী নাদিরা খাতুন চাঁদপুর মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। জাতীয় মেধাতালিকায় ৩৪১০তম স্থান অর্জন করেছেন। কিন্তু পড়ার খরচ চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তার হত দরিদ্র সবজি বিক্রেতা বাবা আবুবক্কর। 

জানা যায়, নাদিরার বাবা আবু বক্কার একজন ক্ষুদ্র সবজি বিক্রেতা। বাড়ির ভিটেমাটি ছাড়া নেই অন্য কোনো জমি। সবজি বিক্রি করে কোনো মতে চলে সংসার। এমন পরিস্থিতিতে মেয়ের মেডিকেলে ভর্তি ও শিক্ষা খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বাবা। 

নাদিরা খাতুন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনাইটেড হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেন।

নাদিরা খাতুন বলেন, আমার লক্ষ্য অসহায়, দুস্থ ও অবহেলিত মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার। আজ সে সুযোগ এসেছে।

কলারোয়ার বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন জানান, নাদিরা খাতুন চার বোনের তৃতীয়। তার বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে, দ্বিতীয় বোন যশোর এমএম কলেজে বোটানিকে অনার্সে অধ্যায়নরত ও ছোট বোন বোয়ালিয়া ইউনাইটেড হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

তিনি জানান, তার কলেজের সদ্য প্রাক্তন ছাত্রী নাদিরা খাতুন অত্যন্ত মেধাবী। তার বাবা ও পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্ছল হলেও শিক্ষাক্ষেত্রে তাদের অবদান অত্যন্ত উজ্জল। নাদিরার বাবা একজন ক্ষুদ্র সবজি বিক্রেতা। তার ভিটেবাড়ি ছাড়া তেমন কোনো জায়গা- জমিও নেই। তবে তার চার মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মত মানুষ করা চেষ্টা রেখেছেন।

টং দোকানের বসে সবজি বিক্রিতে ব্যস্ত নাদিয়া বাবা আবুবক্কর। ছবি: খবর সংযোগ

সবজি বিক্রেতা নাদিরার বাবা আবু বক্কার জানান, তার বাড়ির পাশে ছোট একটি টঙ দোকানে বসে সবজি বিক্রি করেন তিনি। এতে সংসার কোনো রকম চলে। মেয়েরা মেধাবী হওয়ায় লেখাপড়া করাতে কখনো কার্পণ্য করেননি।

তিনি বলেন, এ বছর মেডিকেলে সুযোগ পেয়েছে নাদিরা, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। তবে দুশ্চিন্তায় আছি তার লেখাপড়ার খরচ জোগাতে পারব কিনা।

তাই সচ্ছল ব্যক্তিদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।