কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহকে হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় থেকে মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সাজিদের খুনিদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে হত্যা মামলা করা এবং মামলার তদন্তের ভার পিবিআইকে প্রদানের জোর দাবি জানান। দাবি পূরণ না হলে ক্যাম্পাস শাটডাউনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা সাজিদের খুনিদের ফাঁসি চাই। যদি বিচার না পাই তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে দেওয়া হবে। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না। প্রশাসন যদি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা নিজেদের পঙ্গু প্রশাসন হিসেবে প্রমাণ করবে।
এদিকে সাজিদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে মরদেহ উদ্ধারের পরদিনই (১৮ জুলাই) দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় ও শহীদ জিয়াউর রহমান হল প্রশাসন। প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি গতকাল প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
রোববার রাত ৮টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে তারা জানান, প্রতিবেদনে প্রশাসনকে বিষয়টি নিয়ে উচ্চতর তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, ময়নাতদন্ত, সুরতহাল ও ভিসেরা রিপোর্টের পাশাপাশি সাজিদের কল লিস্ট, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সব তথ্য ক্রস চেক করে ফাইনাল রিপোর্ট হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ১৬ জুলাই বিকেল পৌঁনে ৫টা থেকে লাশ ভেসে উঠার মধ্যে সাজিদের অবস্থানের বিষয়ে ‘ট্রেস’ পায়নি তদন্ত কমিটি। তবে সাজিদের মৃত্যুটি স্বাভাবিক নয় বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তারা।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলের সামনের পুকুর থেকে সাজিদের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সাজিদের মৃত্যুর ভিসেরা রিপোর্টে উঠে এসেছে সাজিদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পরের দিন সকাল সাড়ে ৯টায় ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।