শিবসা নদী পরিণত হয়েছে গোচারণভূমিতে, দখলে নিচ্ছে ভূমি দস্যুরা

খুলনার পাইকগাছার শিবসা নদী খননের কোন উদ্যোগ নেই। খননের দাবিতে বারবার আন্দোলন, সংগ্রাম হলেও মিলেছে শুধু আশ্বাস। তবে ২৭-২৮ বছরেও বাস্তবায়ন করেনি সরকার।

জানা গেছে, খননের দাবিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অসংখ্য বার লিখিত আবেদন করা হয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে নদীর বিশাল অংশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় পরিণত হয়েছে গোচারণভূমিতে। বেদখল হয়ে গেছে শতশত বিঘা জায়গা। উপজেলা সদরের শিববাটী ব্রিজ থেকে হাড়িয়া পর্যন্ত নদীর প্রায় ১৫ কিলোমিটার ভরাট হয়ে ভূমি থেকে অনেক উঁচু হয়ে গেছে। 

নদীটি খননের জন্য বিভিন্ন সংস্থা, বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে সভা সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়েছে। ১৯৯৭-৯৮ সাল থেকে এ অবস্থার শুরু হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া হয়েছে স্মারকলিপি ও আবেদন। দ্রুত খনন করা হবে এমন আশ্বাসও কতৃপক্ষ দিয়েছিলেন। কিন্তু তা আশ্বাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। কোন অগ্রগতি হয়নি। উল্টো নদীর জায়গা ভূমি দস্যুরা ইচ্ছে মতো দখল করে নিচ্ছে।

এক সময় যে নদীতে ছিল প্রবল জোয়ার-ভাটার স্রোত। চলতো লঞ্চ, স্টিমার নৌকা, স্পীড বোর্ড। ছিল খেয়াঘাট। নদী ভরাট হওয়ার কারণে এসব এখন শুধুই স্মৃতি। সেখানে এখন চরে গবাদিপশু।

অন্যদিকে দখলবাজরা একাধিক বাঁধ দিয়ে করছে মাছের ঘের। গড়ে তুলেছে অবৈধ স্থাপনা। প্রশাসনের নিরাবতার কারণে দখলের প্রবতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সরজমিনে দেখা গেছে।

উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দীন (সাবেক) বলেন, আমি পাইকগাছায় থাকালীন সময়ে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় কতৃপক্ষকে বারবার লিখেছি।

বর্তমান কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন বলেন, পাইকগাছাবাসীর জন্য শিবসা নদী খনন খুবই জরুরী। এটা না হলে পাইকাগাছা বারবার জলবদ্ধতার শিকার হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহের নাজনীন বলেন, শিবসা নদী খনন হলে জলবদ্ধতাত থেকে পাইকগাছাবাসী রক্ষা পাবে। দখলবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ হবে।