সাতক্ষীরা-৩ (কালিগঞ্জ-আশাশুনি) আসনে বিএনপি ঘোষিত প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ‘গরিবের ডাক্তার’ খ্যাত অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে আশাশুনি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে পুরো এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
বিক্ষোভকারীরা “কাজী নয়, শহিদুল চাই”, “গরিবের ডাক্তারকে মনোনয়ন দাও”, “হটাও কাজী, বাঁচাও ধানের শীষ” এমন সব স্লোগানে মুখরিত করে তোলে আশাশুনি-কালিগঞ্জ সড়ক।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সদস্য আছিফুর রহমান তুহিন, আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল আহসান, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আলীম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হাফিজুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এ সময় বক্তারা বলেন, ডা. শহিদুল আলম কোনো ব্যক্তি নির্ভর রাজনীতির নাম নয়, তিনি মানুষের আশা ও ভরসার প্রতীক। নিজের অর্থে গরিব-দুঃখী মানুষের চিকিৎসা দিয়েছেন, কখনো বিনিময়ে কিছু চাননি। এমন একজন প্রার্থীকে বঞ্চিত করলে বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
তারা আরও বলেন, ভুল মনোনয়ন দিলে এই আসনটি হারাবে বিএনপি। কাজী আলাউদ্দিনের মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে আন্দোলন আরও কঠোর আকার ধারণ করবে।
বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কেন্দ্র সিদ্ধান্ত না বদলালে রাস্তাই হবে আমাদের শেষ ঠিকানা।
একই সময় কালীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায়ও বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পৃথক সমাবেশ করেন। সেখানে ডা. শহিদুল আলমের সমর্থনে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। একপর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালায়।
বিক্ষোভকারীরা জানান, এই আসনে জনমানুষের একমাত্র দাবি, গরিবের ডাক্তারকেই মনোনয়ন দিতে হবে। মনোনয়নে পুনর্বিবেচনা না করা হলে অনির্দিষ্টকালের আন্দোলন চলবে।
দিন দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে সাতক্ষীরা-৩ আসনের রাজনীতি। বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের দিকে এখন তাকিয়ে আছে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।