নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন লাভ ও শাপলা কলি প্রতীক পাওয়াকে কেন্দ্র করে আজ আনন্দ মিছিল ও পথসভা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যশোর জেলা শাখা।
রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে শহরের ঐতিহাসিক মুনশি মেহেরুল্লাহ (টাউন হল) ময়দান থেকে আনন্দ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের দড়াটানা, চিত্রা মোড় ও চৌরাস্তা ঘুরে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় বক্তারা সদ্য সমাপ্ত জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করে আসন্ন সংসদ নির্বাচন জুলাই সনদ অনুযায়ী আয়োজনের দাবি জানান।
চৌরাস্তা মোড়ে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তারা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কারণেই দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে গুম, খুন, লুণ্ঠন, দুর্নীতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান সম্ভব হয়েছে বলেও তারা উল্লেখ করেন।
বক্তারা বলেন, অতীতে বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো বহুবার আন্দোলন করেও ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটাতে পারেনি, কিন্তু জুলাই আন্দোলন তা করে দেখিয়েছে। তবে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিয়ে জটিলতা তৈরির চেষ্টায় উদ্বেগও প্রকাশ করেন তারা।
এনসিপি নেতারা সতর্ক করে বলেন, জুলাই সনদে উল্লেখিত রাষ্ট্রীয় সংস্কারের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হলে দেশে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। পুরনো রাষ্ট্র কাঠামো বহাল রাখলে নতুন ফ্যাসিস্ট শক্তির উত্থান ঘটবে বলেও তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বক্তারা পরিষ্কারভাবে জানান আগামী সংসদ নির্বাচন অবশ্যই জুলাই সনদের ভিত্তিতে হতে হবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ জুয়েল, জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক মনিরুজ্জামান আজাদ এবং সদস্য সালমান হাসান রাজিব।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য মাসুম বিল্লাহ, আসমা ইসলাম, সংগঠক আব্দুল মতিন, আসাদুজ্জামান বাবুল, মিজানুর রহমান, জেলা যুবশক্তির যুগ্ম সদস্য সচিব ইবনে সাদ, রূপম আহসান অর্নব, সায়মা সিদ্দিকা, তাহসিন তাইওয়ান, মুখ্য সংগঠক সোহানুর রহমান ও সংগঠক আল শিহাদ প্রিয়সহ জেলা ছাত্রশক্তির নেতারা।