ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আরও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- তাকবির (২২), রুহুল আমিন (৪২), নূর আলম (৩৩), মো. শামীম মিয়া (২৮), সেলিম মিয়া (২২) ও মাসুম খালাসী (২২)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের ময়মনসিংহের একটি আদালতে হাজির করা হয়েছে বলে জানান সেখানকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, 'গ্রেপ্তারকৃতরা কারখানার কর্মচারীদের উসকে দেওয়া, স্লোগান দিয়ে ঘটনাটি বাইরে ছড়িয়ে দেওয়া এবং দিপুকে পদত্যাগের জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।'
দিপু হত্যাকাণ্ডের মামলাটি বর্তমানে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে এবং পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তত্ত্বাবধান করছেন। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
এর আগে, গত শনিবার ও রোববার পৃথক অভিযানে মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ ও র্যাব।
ভালুকার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের ডুবালিয়াপাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস (বিডি) লিমিটেড কারখানার কর্মী দিপু চন্দ্র দাসকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভাজকের একটি গাছে বিবস্ত্র করে ঝুলিয়ে মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
দিপু চন্দ্র তারাকান্দা উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের মোকামিয়াকান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। এ ঘটনায় তার ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে গত শুক্রবার অজ্ঞাতপরিচয় ১৪০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।