নালিতাবাড়ীতে প্রতারণা করে ডিভোর্সের অভিযোগ

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে প্রতারণার মাধ্যমে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে শ্বশুরবাড়ির সর্বস্ব হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নুরুজ্জামান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে উপজেলার নুরুজ্জামান ও মমিতা নিশাত মেঘলার বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ে জন্ম নেয়। তবে এক যুগ না পেরোতেই সম্পর্কে ফাটল ধরে।

অভিযোগ অনুযায়ী, কিছুদিন আগে স্ত্রীকে ঢাকায় বেড়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে তালাকনামায় স্বাক্ষর করান নুরুজ্জামান। একই সঙ্গে বিয়ের সময় পাওয়া ৮ ভরি স্বর্ণ, আসবাবপত্র, মোটরসাইকেল ও নগদ মিলিয়ে প্রায় ১৮ লাখ টাকার সম্পদ হাতিয়ে নেন। এতে নিঃস্ব হয়ে পড়েন মেঘলার বাবা আব্দুল মালেক।

তালাকের পরও নুরুজ্জামান ও মেঘলার মধ্যে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ে করার পর পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে মেঘলা আবারও সংসার টিকিয়ে রাখতে চাইলে উভয় পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে সন্তানদের নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গেলে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে মেঘলা, তার মা রেহেনা পারভিন ও খালা শাপলা খাতুনকে মারধর করা হয়। এ সময় মেঘলার গলার স্বর্ণের মালা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও ওঠে। আহতদের নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী মেঘলা বলেন, চাতুরতার আশ্রয় নিয়ে আমাকে তালাক দিয়েছে নুরুজ্জামান। এখন আমি সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সংসার ফেরাতে চাই। আমি ন্যায়বিচার চাই।

অভিযোগ অস্বীকার করে নুরুজ্জামান জানান, মেঘলা নিজেই আমাকে তালাক দিয়েছিল। পরে তার পরিবার তাকে ফিরিয়ে আনে। আমি তার নামে ৪ শতাংশ জমিও লিখে দিয়েছি। তাদের করা অভিযোগ মিথ্যা।

নালিতাবাড়ী থানার ওসি মো. সোহেল রানা জানান, লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।