উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে ঝিনাই নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় ৫ শিশু। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে সিধুলী ইউনিয়নের চর ভাটিয়ানি আমতলী এলাকার দুদু মিয়ার মেয়ে পলি আক্তার (১২) ও ছেলে আবু হোসেন (৮), সরিষাবাড়ি উপজেলার বাউসি এলাকার নুর ইসলামের মেয়ে সাইবা আক্তারের (৯) মরদেহ উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে শিশু পলি আক্তার ও আবু হোসেন ভাইবোন। পরদিন দুপুরে ওই এলাকার আজাদ মিয়ার মেয়ে কুলসুম আক্তারের (৮) মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ বৈশাখীর সন্ধান করতে না পেরে অভিযান স্থাগিত করে ফায়ার সার্ভিস। আজ সকালে নিখোঁজ বৈশাখীর মরদেহ ভেসে ওঠে।
এ বিষয়ে সিধুলি ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য ওয়াহেদ আলী নান্টু বলেন, শুক্র ও শনিবার দুই দিন ৪ জনের মরদেহ পাওয়া যায়। একজন নিখোঁজ ছিল। আজ সকালে যেখানে মারা গেছে, তার দক্ষিণ দিকে শিশুটির মরদেহ ভেসে ওঠে।
মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, সকালে বৈশাখী আক্তার নামে আরেক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। ঝিনাই নদীতে ৫ শিশু নিখোঁজের ঘটনায় সর্বশেষ শিশুর মরদেহও উদ্ধার হয়েছে।