সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমতি ছাড়াই বগুড়ার আদমদীঘির কদমা মৎস্য খামার এলাকায় ব্রিজ সংলগ্ন সড়কের দুই পাশের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী এক কাঠ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। গত কয়েক দিনে ওই সড়কের প্রায় ১২টি সরকারি গাছ কেটেছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাতে বগুড়া সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুলতানা খানম অনুমতি ছাড়াই কেটে রাখা ১০টি গাছ সওজের হেফাজতে নিয়েছেন।
জানা গেছে, ১৬ বছর আগে উপজেলার সান্তাহার ইউপির দমদমা গ্রামের ২৮জন যুবক মিলে সড়কের দু’ধারে দেড় শতাধিক গাছ লাগান। তারা নিজ উদ্যোগে গাছগুলো পরিচর্যাও করেন। গত ৯ জুন বুধবার সকাল থেকে কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম গাছগুলো কাটা শুরু করেন। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই কাঠ ব্যবসায়ীকে গাছ কাটতে নিষেধ করেন।
দমদমা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আতোয়ার রহমান বলেন, গাছগুলো আমার ছেলে শাহরিয়ার কবির শিপলুসহ আমার মহল্লার প্রায় ২৮জন যুবক রোপণ করেন। তবে তাদের না জানিয়েই ও অনুমোদন ছাড়াই গাছগুলো কাটা অন্যায় এবং অপরাধ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, গাছগুলো কাটতে দমদমা পূর্বপাড়া মসজিদের নামে একটি দরখাস্ত দেওয়া হয়। এরপর সড়ক ও জনপদ বিভাগ থেকে একটি কাগজ দিয়েছে। সেই কাগজ পেয়েই গাছ কাটা হচ্ছে। গাছ কাটার জন্য কাগজপত্র রয়েছে। প্রয়োজনে প্রশাসনের লোকজনদের দেখানো যাবে কিন্তু সাংবাদিকদের দেখাতে আমি রাজি নই।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা আদমদীঘি থানার উপ পরিদর্শক মানিক কুমার বলেন, খবর পেয়ে গাছ কাটা নিষেধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তারাই আইনগত পদক্ষেপ নিবেন।
আদমদীঘি উপজেলা বন কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না।
বগুড়া সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুলতানা খানম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে ১০টি গাছ সওজের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বিধি অনুযায়ী তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।