নাটোরে ছাত্র-জনতার নেসকো অফিস ঘেরাও

নানা অনিয়ম, হয়রানির অভিযোগসহ বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার বাতিলসহ ৭ দফা দাবিতে নাটোরে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (পিএলসি) নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর ঘেরাও করেছে ছাত্র-জনতা। পরে সেনাবাহিনীর আশ্বাসে ছাত্র-জনতা ঘটনাস্থল ছেড়ে যায়।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বেলা ১১টায় শহরের আলাইপুর এলাকায় নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরের সামনে ছাত্র-জনতার এই ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এ কর্মসূচি।

এর আগে সোমবার (১৯ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এতে সাড়া দিয়ে আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিদ্যুৎ গ্রাহক ও শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকে শহরের আলাইপুর এলাকার উত্তরাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণী সংস্থা নেসকো'র প্রকৌশলীর দপ্তরের সামনে। এসময় নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তরের প্রধান ফটক ঘেরাও করে রাখে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ।

রফিকুল ইসলাম নামে এক গ্রাহক বলেন, আমরা এ ডিজিটাল মিটার চাই না। এ মিটারের মাধ্যমে মানুষকে নিঃস্ব বানানো হচ্ছে। ৫০০ টাকা মিটারে তুললে সাথে সাথে ১৫০ টাকা কেটে নেয়। সেজন্য আমরা এ মিটার বাতিল চাই এবং পূর্বের মিটার আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

শিক্ষার্থী আল-আমিন বলেন, ডিজিটাল মিটারের নামে কৌশলে জনগণের টাকা মেরে দিচ্ছে নেস্কো। সেইসাথে বিড়ম্বনা তো রয়েছেই, মিটারে টাকা তুলতেই যেনো শেষ হয়ে যায়। আমরা জনকল্যাণে ৭টি দাবি রেখেছি নেস্কোর কাছে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে। সেইসাথে সেনাবাহিনীর আশ্বাসে আমরা কর্মসূচি বন্ধ করেছি।

সেনাবাহিনী নাটোর সদর ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন সাদাদ জানান, জনগণের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান করা হয়েছে নেসকোকে। তারা ৭দিন সময় চেয়েছে। জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছি।

নাটোর নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী বিশাল আগারওয়াল বলেন, ছাত্ররা প্রিপেইড মিটার বাতিল সহ বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন। এটা যেহেতু মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়, আমরা মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবগত করব, সেজন্য সময়ের প্রয়োজন।