পেঁয়াজের ব্যাপক দরপতন!

পাবনায় কমছে পেঁয়াজের দর। দেরিতে রোপণ করায় কাঙ্ক্ষিত ফলন পাননি পেঁয়াজ চাষিরা। এই না পাওয়ার আক্ষেপের মাঝেই এখন মড়ার উপর খাড়ার ঘা, বড় ধরনের দরপতন। তারপর বর্তমানে যে দাম মিলছে তাতে বিঘা প্রতি লোকসান প্রায় ৩০ হাজার টাকা। এমন হলে আগামীতে পেঁয়াজ আবাদ না করার চিন্তা চাষিদের।

বর্তমানে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা মণ। এতে লোকসানে পড়েছেন কৃষকরা। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে পেঁয়াজ উত্তোলন মৌসুমে বিদেশি পেঁয়াজ আমদানি সাময়িক বন্ধের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।

পেঁয়াজ সমৃদ্ধ পাবনার সুজানগর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রাম। পদ্মা চরের গ্রামটির মাঠে মাঠে এখন শীতকালীন মুড়িকাটা পেঁয়াজ তোলা নিয়ে ব্যস্ত চাষিরা। সেই পেঁয়াজ বাড়িতে নেয়ার পর বাছাই করে বাজারে নেয়া হয় বিক্রির জন্য।

গত কয়েক বছর ধারাবাহিকভাবে লাভবান হওয়ায় এ বছরও সুজানগর, সাঁথিয়া, বেড়া ও সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ রোপণ করেন চাষিরা। প্রথম দফায় উচ্চমূল্যে কেনা কন্দবীজ রোপণের পরপরই নষ্ট হয় অসময়ের অতিবৃষ্টিতে। নতুন করে আবারও রোপণ করায় খরচ বাড়ে দ্বিগুণ।

এক পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জানান, সবাই পেঁয়াজ তুলছে। হাটে পেঁয়াজের আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। আমরা বাজার অনুযায়ী কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাই। এখানে আমাদের কোনো সিন্ডিকেট নেই। এ পেঁয়াজ তো বেশিদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায় না।

সুজানগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন, বেশি দাম পাওয়ার আশায় অনেক কৃষক একসঙ্গে পেঁয়াজ তুলে বাজারে নেয়ায় দাম কমেছে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি অপরিপক্ব পেঁয়াজ জমি থেকে না তোলার। পরিপক্ব হওয়ার পর ধীরে ধীরে পেঁয়াজ তোলা ও বাজার দেখে বিক্রি করা। আশা করছি দাম আবার বাড়বে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে পাবনা জেলায় ৮ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিকটন।