অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্স

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বগুড়ার ‘মধুবন সিনেপ্লেক্স’। গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে সিনেপ্লেক্সটি বন্ধ রাখা হয়েছে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিনেপ্লেক্সটির স্বত্বাধিকারী রোকনুজ্জামান ইউনূস রুবেল সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে এটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ এবং বন্ধের কারণ জানান।

রোকনুজ্জামান ইউনূস বলেন, সিনেপ্লেক্স চালাতে গিয়ে সব মিলিয়ে মাসে প্রায় ৩ লাখ টাকার মতো খরচ হচ্ছে। কিন্তু সেটা তুলতে পারছি না দর্শকদের টানতে পারবে এমন সিনেমার অভাবে। 'তাণ্ডব' সিনেমার পর আর কোনো ব্যবসা সফল সিনেমা আসেনি। অনেক ছবি মুক্তি পেলেও দর্শকের সাড়া মেলেনি। আমাদের দেশের সিনেমা ঈদ ছাড়া দর্শক টানতে পারছে না।

বিদেশি সিনেমা চালাতে পারলে দর্শক আসতো। প্রতিযোগিতায় আমাদের সিনেমাও ভালো চলতো। কিন্তু বাইরের সিনেমা আমদানি একেবারে বন্ধ। তাই টানা লোকসানে আর সম্ভব নয়। মূল কথা হচ্ছে, আমাদের ব্যবসা আমাদের মতো করে চালাতে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ, আমরা আপনাদের সাথে দেখা করতে চাই। আপনাদের সাথে বসতে চাই। আমাদের কথা আপনারা শোনেন। আমাদের কথা যদি পছন্দ হয়, ভালো লাগে তাহলে সেটা গ্রহণ করেন। আমাদের কথা যদি অগ্রহণযোগ্য হয়, আমাদের বলে দেন এটা হবে না। তাহলে আমরা আমাদের হল একেবারে বন্ধ করে দেবো।

আর যদি আমাদের সহযোগিতা করেন, তাহলে এটি আমরা আরো সুন্দরভাবে করবো এবং আমরা মধুবনের মতো আরো ২০০ সিনেপ্লেক্স আমরা বাংলাদেশে তৈরি করবো।

রোকনুজ্জামান ইউনূস রুবেল জানান, ২০১৫ সালে শাকিব খানের 'লাভ ম্যারেজ' মুক্তির সময় ভাঙা চেয়ার, ছারপোকার কামড়, গরমের মধ্যেও হলভর্তি দর্শক হয়। এরপর ২০১৬ সালে 'আয়নাবাজি' প্রদর্শনের সময় শিক্ষিত শ্রেণির দর্শকের ঢল নামে। তখনও সিনেমা হলের অবস্থা তেমনই ছিলো। কিন্তু এমন পরিবেশেও দর্শকদের আগ্রহ দেখে সিনেপ্লেক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আয়নাবাজি প্রমাণ করে শহরের শিক্ষিত তরুণরা হলে আসতে চায়। সেই সময় দর্শকদের সঙ্গে কথা বলে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা হয়। এরপর ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২০২১ সালে বগুড়ার প্রথম সিনেপ্লেক্স হিসেবে যাত্রা শুরু করে মধুবন। সিনেপ্লেক্সের জন্য বেলজিয়াম থেকে আনা হয় প্রজেকশন মেশিন, আমেরিকা থেকে সাউন্ড সিস্টেম এবং মুম্বাই থেকে 'গ্যালালাইট মেটাল কোডেড' পর্দা।