নওগাঁয় পদোন্নতির দাবিতে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি

পদোন্নতির দাবিতে নওগাঁর সরকারি কলেজগুলোর শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। হঠাৎ করে শিক্ষকদের এই কর্মবিরতি পালনে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
 
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় নওগাঁ সরকারি কলেজের প্রশাসনিক ভবন চত্বরে ‘নো প্রমোশন নো ওয়ার্ক’ স্লোগানে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার সাধারণ পরিষদের শিক্ষকরা। 
 
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক পরিষদ নওগাঁ ইউনিটের আহ্বায়ক মনোতোষ কুমার বলেন, বিধি মোতাবেক অন্যান্য ক্যাডার ৫ বছরে পদোন্নতি পেয়ে ষষ্ঠ গ্রেডে উন্নীত হলেও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা এখনো এন্ট্রিপদ ৯ম গ্রেডেই রয়েছেন।   
 
যেখানে প্রতিবছর পদোন্নতির জিও (সরকারি আদেশ) জারি হওয়ার কথা, সেখানে গত ২ বছর ধরে প্রভাষকদের পদোন্নতির কোন জিও জারি হয় না। আমলাতান্ত্রিক সদিচ্ছার অভাব ও বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণের জন্য বারবার শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষকরা পদোন্নতির স্বাভাবিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ফলে পদোন্নতিযোগ্য প্রভাষকরা আর্থিক, সামাজিক ও মানসিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে পদোন্নতির সরকারি প্রজ্ঞাপন জারিসহ বৈষম্য নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দাবি করছি।  
 
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক পরিষদ নওগাঁ ইউনিটের সদস্য মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বিসিএস রিকুটমেন্ট রুলস অনুযায়ী পদোন্নতির নির্ধারিত যোগ্যতা অর্জনপূর্বক চাকরি কাল ৫ বছর অতিবাহিত হলেই পদোন্নতি পাওয়ার কথা। কিন্তু বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭ ব্যাচের যোগ্য প্রভাষকরা পদোন্নতির সব যোগ্যতা অর্জন করেও ১৩, ১২, ১১, ১০, ৯, ৮ বছর ধরে এখনো প্রথম পদোন্নতিই পাননি।
 
এ অবস্থায় প্রভাষকদের পদোন্নতির জিও অবিলম্বে জারি করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কর্তৃপক্ষকে সবিনয় অনুরোধ করছি। 
 
শিক্ষকরা বলেন, আমাদের সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হোক আমরা এটা চাই না। আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে চাই। দ্রুত আমাদের বিষয়ে জিও জারি করে আমাদের ক্লাসে ফিরে যেতে দিন।
 
এ কর্মসূচি থেকে যোগ্য শিক্ষকদের দ্রুত পদোন্নতির জন্য সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির দাবি করা হয়। নতুবা ‘নো ওয়ার্ক কর্মসূচি’ চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।