লালমনিরহাট সীমান্তে পুশ-ইন, নারীসহ আটক ১০

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে পুশ-ইন শিকার নারী শিশুসহ ১০ জন আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাত ৪টার দিকে ওই দূর্গাপুর সীমান্তের ৯২৫ নম্বর মেইন পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পুশ-ইন শিকার চার শিশু, তিন নারী ও তিন পুরুষসহ ১০ জন। 
 
আটককৃতরা হলেন, একই পরিবারের শ্রী মন্টু রায়, ছেলে শ্রী পলাশ রায়, স্ত্রী আর্চনা রানী, মেয়ে শ্রীমতী মিশুরানী। একই এলাকার মহেন্দ্র চন্দ্র রায়ের মেয়ে ফুলরানী বর্মণ, ছেলে শ্রী হরি কান্ত রায়, অনন্ত চন্দ্র বর্মনের ছেলে কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মন, হরিকান্ত বর্মনের শিশু পুত্র সুরভী (৫), হরিকা কান্তের শিশু কন্যা স্বপ্না বর্মন (২), শ্রী পলাশের শিশু কন্যা পল্লবী রায় (১০ মাস)। আটকদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন দূর্গাপূর ক্যাম কমান্ডার সাইদুর রহমান।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৪টায় সীমান্ত অতিক্রম গিরিধারী নদী পাড় হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সূর্য উদয়ের পর স্থানীয়রা তাদের দেখে সন্দেহ হলে বিজিবিকে খবর দেয়। পরে আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে টহলরত দূর্গাপুর বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে।
 
বিজিবির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা নিজেদের কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়েছেন। তারা জানান, প্রায় ১০ বছর আগে কাজের সন্ধানে ভারতে যান। এতোদিন সেখানেই ছিলেন। বুধবার বিকালে ভারতের হরিয়ানা রাজ্য থেকে বিএসএফ তাদের ধরে নিয়ে যায়। পরে বৃহস্পতিবার শেষ রাতে এনে সীমান্ত পথে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাদের। আটক ব্যক্তিদের সবাই সনাতন ধর্মাবলম্বী। তাদের মধ্যে চার শিশু, তিন নারী ও তিন পুরুষ রয়েছেন।
এ বিষয়ে বিএসএফের কাছে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল মেহেদী ইমাম (পিএসসি)।