মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশে দিলো এলাকাবাসী

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ভাটিবাড়ী এলাকা থেকে রফিকুল ইসলাম (৪৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। সোমবার সকালে ওই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে এলাকাবাসী। আটক রফিকুল ওই ইউনিয়নের ভাটিগ্রামের  মৃত আকবর আলীর ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, রফিকুল দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও মাদকসেবন করে আসছিল। তার নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবী মাদক ব্যবসায়ী রফিকের কারণে এলাকার উঠতি বয়সী ছেলেরাও মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। এলাকাবাসী তাকে অনেকবার সতর্ক করার পরেও সে গোপনে মাদক ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছিল। আজ স্থানীয়রা আটক করে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। মাদক নির্মূলে এলাকাবাসী একজোট হয়ে কাজ করছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

গত ১১ মে লালমনিরহাট শহরের ভোকেশনাল মোড় সওদাগর কুরিয়ার সার্ভিসের সামনে একটি ইজিবাই থেকে ২২ কেজি ৭০০ গ্রাম (গাঁজা) উদ্ধার করে র‌্যাব-১৩ রংপুর এর একটি টহল দল। ওই সময় ইজিবাইক চালক শাখাওয়াত হোসেন (৪৮) কে আটক করেন। পরে শাখাওয়াত হোসেনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন ২০১৮ সালের আইনে ৩৬(১) এর ১৯/৩৮ ধারায় মামলা দেয় র‌্যাব। যার মামলা নম্বর-২৬।
 
ওই সময়ে শাখওয়াত র‌্যাবকে জানান, আমি মাদক দ্রব্য বিষয়ে কিছু জানিনা, আমি অটো চালক, ভাটিবাড়ী গ্রামের রফিকূল ইসলাম আমাকে ফোন করে জনৈক মাহতাবের চাতাল থেকে ৩টি বাদামের বস্তা লালমনিরহাট শহরের মিশনমোড়ে নিয়ে আসতে বলেন। আমি তার কথামতো ৩টি বাদামের বস্তা নিয়ে এসেছি। বাদামের বস্তার ভেতর কি আছে  আমি জানি না। পরে  (গাঁজার) মুল মালিক রফিকুল ইসলামকে মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সে আশপাশে থাকলেও  র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়ে। রফিকুল পালিয়ে যাওয়ায় র‌্যাব মাদকদ্রব্যসহ অটো চালককে আসামি করে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা দেন।

পরে অটো চালক শাখওয়াত জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক মাদক ব্যবসায়ী রফিকুলকে খুঁজতে থাকেন। র‌্যাব-১৩ এর উদ্ধারকৃত ২২ কেজি ৭০০ গ্রাম গাজা’র প্রকৃত মালিক রফিকুলকে  ৩ মাস পর খুজে পেয়ে স্থানীয়দের সহষোগিতায় আটক করে লালমনিরহাট সদর থানায় সোপর্দ করেন।  

এ বিষয়ে সদর থানা ওসি নুরনবী বলেন, রফিকুল নামের একজনকে  স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। রফিকুল ইসলাম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গত ১১মে লালমনিরহাট শহরের ভোকেশনাল মোড়ে সওদাগর কুরিয়ার সার্ভিসের সামন থেকে  র‌্যাব-১৩, রংপুর এর উদ্ধারকৃত ২২ কেজি ৭০০ গ্রাম গাজার প্রকৃত মালিক বলে স্বীকার করেছে। তার রিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা  গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।