গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় নিষিদ্ধ জাল দিয়ে দেশীয় মাছ নিধনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের আভিযানিক দলের ওপর হামলায় দুই শ্রমিক আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গত রোববার বিকেলে উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এলাকার কিছু ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত বাঙালি নদীর শাখায় পানির প্রবাহ রোধ করে নিষিদ্ধ ঘোষিত খরা জাল বা ইঞ্জিনের মাধ্যমে পরিচালিত ফিক্সড জাল দিয়ে দেশীয় প্রজাতির পোনা থেকে শুরু করে সব ধরনের মাছ নিধন করছিল। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গত রোববার বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানার নেতৃত্বে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান পুলিশসহ সেখানে অভিযান শুরু করেন। অভিযান চলাকালে অন্তত ১৫ জনের সংঘবদ্ধ দল অভিযানে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের ওপর হামলা করে। এতে হাসান ও নবানু নামে দুই শ্রমিক আহত হন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে প্রশাসন ৪টি খরা উচ্ছেদ করে।।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা জানান, মহিমাগঞ্জ বাঙালি শাখা নদীতে নিষিদ্ধ জাল উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেয়া শ্রমিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।