নীলফামারীতে উত্তরা ইপিজেড শিল্পনগরীর এভারগ্রিন প্রোডাক্টস ফ্যাক্টরি বিডি লিমিটেডের আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টিয়ারসেল, রবাব বুলেট ও লাঠিপেটায় ইপিজেডের ইকো কোম্পানির শ্রমিক হাবিব ইসলাম নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য শ্রমিক। তাদের মধ্যে ৮ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও রংপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উত্তরা ইপিজেড শিল্পনগরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাবিব ইসলাম নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের কাজীর হাট এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে।
হাসপাতালে ভর্তি আহতরা হলেন- আমিনুল হক, শাহিন, নুর আলম, মোস্তাক, লিপি আক্তার, জামিলা খাতুন, গোলাম রব্বানী, গীতারানী।
শ্রমিক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উৎপাদন টার্গেট কমানো, ওভারটাইম নিশ্চিতকরণ, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুটহাট চাকুরিচুত্য না করাসহ ২০ দফা দাবি আদায়ে গত ২ দিন ধরে নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ইপিজেডের এভারগ্রীন প্রোডাক্টস ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা আন্দোলনে নামলে অনিদিষ্টকালের জন্য প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ ঘোষণায় আন্দোলনরত শ্রমিকরা আরো ফুঁসে উঠে রংপুর-নীলফামারী-পঞ্চগড় মহাসড়ক অবরোধ ও শিল্পনগরীর প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুরিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার সময় আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষে শিল্পনগরী এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাঁদানি গ্যাস, রবার বুলেট ও বেধরক লাঠিপেটায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ শিল্পনগরী এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়ান করা হয়েছে।
এ অনাকাঙ্খিত ঘটনার বিষয়ে বেপজার নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
নীলফামারী সদর থানা ইনচার্জ ও পুলিশ সুপারের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তারা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।