ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল। তবে হাওর এলাকায় ফসল না থাকায় তেমন ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার সারি, বড়গাঙ ও রাংপানি নদীতে দ্রুত পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে পার্শ্ববর্তী হাওর ও নিম্নাঞ্চলে ঢলের পানি প্রবেশ করতে শুরু করে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ডিবিরহাওর, ফুলবাড়ী, ঘিলাতৈল, টিপরাখোলা নীচু এলাকায় দ্রুত পানি প্রবেশ করছে। তাছাড়া সারি নদীর পানি বৃদ্ধিতে ডুলটিরপাড়, চাতলারপাড়, বামনহাওড়,শেওলারটুক, নলজুরী, লক্ষিপুর, খারুবিল এলাকার নিম্নাঞ্চলের ঢলের পানি প্রবেশ করতে দেখা যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, সিলেটের নদ-নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে।
জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, বর্তমানে হাওরে শাক-সবজি বা অন্য আবাদি জমি না থাকায় ক্ষতির আশঙ্কা কম রয়েছে।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, বৃষ্টি ও উজানি ঢলে কিছু এলাকায় পানি ঢুকেছে। সার্বিক বিষয় আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছে পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা সেই হিসাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। তাছাড়া আমাদের এখানে রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই। ফলে মোবাইল নেটওয়ার্কও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই প্রশাসনের সবাইকে বলে দিয়েছি যেন সরেজমিনে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখেন। এছাড়া ভারী বর্ষণে পাহাড় টিলা ধসে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।