সুনামগঞ্জে পানি বাড়লেও ভয়ের কিছু নেই: পাউবো

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং সুনামগঞ্জে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় নদ- নদীর পানি বেড়েছে। গেল ৪৮ ঘণ্টায় পানি বাড়লেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। স্থানীয়রা বলেন, এই মুহূর্তে নদী এবং হাওরগুলোতে পানি দরকার। পানি এলে মাছের বংশ বৃদ্ধিসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষা হবে।

পাউবো’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জেলার সবগুলো হাওর পানি শূন্য থাকায় উজানের ঢলের পানি হাওরে প্রবেশ করলে নদীর পানি কমে যাবে।

গত ২৪ ঘণ্টায় লাউড়েরগড় পয়েন্টে ২৪, ছাতকে ২০, সুনামগঞ্জে ১৫ এবং দিরাইয়ে ১৭ সে.মি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এদিকে ভারতের মেঘারয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে ১৯৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে শহরের ওয়েজখালী এলাকায় গিয়ে জলিলপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. তৌফিক মিয়া'র সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পানির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এখন পানির সময় যেহেতু, পানি আসবেই। এতে আমাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই।

গণমাধ্যম কর্মী সাইদুর রহমান আসাদ বলেন, সুনামগঞ্জে এখন পানি আসা খুবই দরকার। কারণ, সুনামগঞ্জে ১৩৭টি ছোট বড় হাওর রয়েছে। সেই হাওরগুলোতে পানি প্রবেশ করতে হবে। নদীর পানি বাড়লে, হাওরে পানি ঢুকবে। পানি ঢুকলে মাছের বংশ বৃদ্ধিসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষা হবে। এখনও পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ভয়ের কিছু নেই।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, পাহাড়ি ঢলে সিলেটের জকিগঞ্জ ও কানাইঘাটে বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। এই পানি কুশিয়ারা ও সুরমা হয়ে সুনামগঞ্জের দিকেই নামবে। তাতে নদীর পানি আরও কিছু বাড়লেও বন্যার আশঙ্কা নেই। আমাদের হাওরগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। ঢলের পানি এখন হাওরে প্রবেশ করবে। নদীর পানিও বিপদসীমা অতিক্রম করবে না। নদীতে পানি বাড়লেও দ্রুতই পানি কমে যাবে। এছাড়াও চেরাপুঞ্জি এবং সুনামগঞ্জে এখন স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে।