সিলেটে ঈদের দিন সকাল থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সিসিকের ১৬শ কর্মী কাজ করছে। ইতোমধ্যে মহানগরের ৮০ ভাগ বর্জ্য পরিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে। কিছু এলাকায় পানি থাকার বর্জ্য অপসারণে কিছুটা সময় লাগছে। বর্জ্য অপসারণ অভিযান নিয়মিত তদারকি করছেন সিসিক মেয়র।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদুল আযহার জামাত শেষে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও নাস্তা করেন। পরে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বর্জ্য অপসারণে নামানো হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর।
তিনি জানান, বন্যার পানি দ্রুত নেমে যাওয়ার জন্য প্রথমে মহানগরের নালাগুলো পরিচ্ছন্ন করেন কর্মীরা। পরে প্রত্যেক ওয়ার্ডে ভাগ করে দেওয়া হয় তাদের। বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মহানগর এলাকার পশুর হাটসহ প্রায় ৯০ ভাগ পরিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে। তবে যেসব হাটে পানি উঠে পড়েছে সেসব হাট থেকে পানি নামার সাথে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে।
তাছাড়া বিকালের মধ্যেই কোরবানির পশুর বর্জ্য প্রায় ৮০ ভাগ পরিচ্ছন্ন করে ফেলেছেন সিসিক কর্মীরা। তবে অনেকের বাসাবাড়িতে পানি উঠে পড়ায় তারা সোমবার পশু জবাই করতে পারেননি। তারা আগামীকাল (মঙ্গলবার) অথবা পরশু (বুধবার) কুরবানি করবেন। তাই আগামী দুদিনও সিসিকের পক্ষ থেকে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান,নগরের আজকের কুরবানির পশুর বর্জ্য রাত ৯টার মধ্যেই পুরোপুরি পরিচ্ছন্ন করা হবে। মেয়র মহোদয় নির্দেশ দিয়েছেন- মহানগরবাসীর কুরবানি দেওয়া-সাপেক্ষে আরও দুই অথবা একদিন পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে। বর্জ্য সিসিকের গাড়িতে করে সরাসরি ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে ফেলা হচ্ছে।