পূর্বাচলের আশেপাশে অবৈধ সাইনবোর্ড অপসারণের নির্দেশ

নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের পূর্বাচল সরকারি আবাসিক প্রকল্পের আশেপাশে সরকারের অনুমতি ব্যতীত অবৈধভাবে গড়ে উঠা আবাসিক প্রকল্পে থাকা বিভিন্ন সাইনবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। 

রোববার (২৬ মে) বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী দুই মাসের মধ্যে রূপগঞ্জ এবং কালীগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় নিম্নোক্ত আবাসন কোম্পানিগুলোর সাইনবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। 

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। 

তিনি জানান,  নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার কিছু অংশ নিয়ে সরকার পূর্বাচল টাউন প্রকল্প গ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন ব্যক্তিদের প্লট বরাদ্দ দেন। কিছুদিন পরে ওই এলাকার আশেপাশে কালিগঞ্জ ও রূপগঞ্জ উপজেলায় অনেকগুলি আবাসন প্রতিষ্ঠান আবাসন প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করে এবং বিভিন্ন স্থানে প্লট বিক্রির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জলাধারের মধ্যেও সাইনবোর্ড স্থাপন করে। এ নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং উল্লেখ করা হয় যে,  ওই আবাসন কোম্পানিগুলোর বৈধতা নেই এবং এদের দ্বারা জনগণ বিভিন্নভাবে প্রতারিত হচ্ছে।

মিডিয়ার সংবাদকে গুরুত্ব দিয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইট ফর বাংলাদেশ একটি রিট দায়ের করেন।শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করে ওই এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন খাল, বিল ও জলাধার যাতে ভরাট করতে না পারে সে ব্যাপারে স্থিতি অবস্থার আদেশ দেন। পরে বিবাদির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক আদালতে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দাখিল করেন এবং বিভিন্ন অবৈধ সাইনবোর্ড উচ্ছেদের কথা আদালতকে অবহিত করেন।

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, আবাসন কোম্পানিগুলোর কোনো প্রকার অনুমোদন নেই। এমনকি বিভিন্ন জলাধার, খাল, পুকুরের মধ্যেও সাইনবোর্ড স্থাপন করে সেগুলো বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী এ সকল জলাধার ভরাট করার কোনো বিধান নেই।

ওই আদেশ বাস্তবায়ন করে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে আগামী ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন।

এইচআরপিবি’র পক্ষে পিটিশনার হলেন, অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ। বিবাদীরা হলেন পরিবেশ, হাউজিং ও ভূমি সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, ডিজি পরিবেশ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক, ডিসি, এসপি গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সহ মোট ১৪ জন।

তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল, অ্যাডভোকেট নাসরিন সুলতানা ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। রাজউকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইমাম হাসান। সরকার পক্ষে ছিলেন ডিএজি মাইনুল হাসান।