কর্ণফুলী নদীর জায়গায় তৈরি জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি স্থাপিত মাছ বাজার এলাকাটি নদীর জায়গা হিসাবে সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৯ মে) এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে দেওয়া রায়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ খসরুজ্জামান ও বিচারপতি এ কে এম জাহিদ সরওয়ারের আদালত এ আদেশ দেন। শুনানিতে রিটের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ নদীর জায়গা নদী হিসাবে সংরক্ষণের আদেশ প্রার্থনা করেন।
শুনানি শেষে আদালত রুল নিষ্পত্তি করে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন-
১. কর্ণফুলী নদীর জায়গা দাগ নং ৮৬৫১ নদী হিসাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. উক্ত জায়গার মালিকানা নিয়ে পোর্ট অথরিটি নিম্ন আদালতে যে মামলা করেছেন সেই জায়গার মালিকানা সংক্রান্ত বিষয় আইন অনুযায়ী উক্ত আদালতে সিদ্ধান্ত নিবে।
আদেশের পরে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, যেহেতু আদালত উক্ত জায়গাটি নদী হিসাবে সংরক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছেন তাই জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে উক্ত জায়গা থেকে সরে যেতে হবে।
রিটকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট সারাওয়ার আহমেদ ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা, পোর্ট অথরিটির পক্ষে ছিলেন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সরকারের পক্ষে ছিলেন ডিআইজি বিপুল বাগমির, পক্ষভুক্ত বিবাদী এইচআরপিবি এর পক্ষে ছিলেন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কর্ণফুলী নদীর জায়গা দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরিকারী ৪৭ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে উচ্ছেদ নোটিশ প্রদান করা হয়। নোটিশের ৪৭ নম্বর বিবাদী (জাতীয় মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি) চাক্তাই ও রাজাখালী খালের মোহনা দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ মাছ বাজার কর্তৃপক্ষ উক্ত নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি আবেদন করেন।
জেলা প্রশাসন উক্ত আবেদন নিষ্পত্তি করার পূর্বে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে আপিল করার কয়েকদিনের মধ্যে উক্ত নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট মামলা ৭২০/২০২১ দায়ের করেন। আদালত উক্ত রিট মামলায় রুল জারি করে স্থিতিবস্থার আদেশ দেন। উক্ত মাছ বাজারটি কর্ণফুলীর নদীর জায়গা ভরাট করে তৈরি করা হয়েছে যা হিউম্যান রাইট এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) কর্তৃক জনস্বার্থে দায়েরকৃত ৬৩০৬/২০১০ মামলায় আদালতের নির্দেশে জরিপের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।