প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, আমাদের সব প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে জনগণের সেবা করে এমন একটি বিচার বিভাগ তৈরি করা। ন্যায়বিচার অবশ্যই একটি বড় শহরের আদালত কক্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। দেশের প্রতিটি কোণে পৌঁছে দিতে হবে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে জুডিসিয়াল ইন্ডিপেন্ডেন্স অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণসহ বিচারসেবা প্রদানে দক্ষতা বৃদ্ধিতে করণীয় সম্পর্কে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা আইনি সহায়তা পরিসেবার প্রসার, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আর্থসামাজিক বাধা অতিক্রম করার মাধ্যমে সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, একটি জনকেন্দ্রিক বিচার বিভাগ এমন একটি ব্যবস্থা, যা শুধু বিচারই করে না, অধিকারকেও প্রতিষ্ঠা করে। এটি নাগরিকদের অধিকার সম্পর্কে শিক্ষিত করে তোলে, তাদের গ্রহণযোগ্য পরিষেবা নিশ্চি করে এবং স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার মাধ্যমে বিশ্বাস গড়ে তোলে। আর এই দৃষ্টিভঙ্গিই আমাদের প্রতিদিন চালিত করে এবং এটিই ভবিষ্যতের বিচার ব্যবস্থাকে নির্ধারিত করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী মামলার ‘রিভিউ’ নিষ্পত্তির মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুদ্ধার ও শক্তিশালী করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের কাছে থাকার বিধান বাদ দেওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগ যাতে অযৌক্তিক রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান লিলার। আপিল বিভাগের বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম সেমিনারে বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, জেলা পর্যায়ের বিচারক, সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রি, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন ও আইন কমিশনে নিযুক্ত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।