ট্রাইব্যুনালেই চলবে জুলাই গণহত্যার বিচার 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বুধবার (২২ জানুয়ারি) তার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, তার আবেদনটি অপরিপক্ব। কারণ এ মামলার তদন্ত এখনও চলমান।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্টাইব্যুনালে বিচারে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদেশের জন্য আজকের দিন ঠিক করেন।

জিয়াউল আহসানের আবেদনের পক্ষে সেদিন আদালতে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকী ও অ্যাডভোকেট নাজনীন নাহার। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

গত জুলাই-আগস্টে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে। জাজ্বল্যমান এ অপরাধের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।