আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, আয়নাঘরে যারা তদন্ত করতে গেছেন, তাদের টাইম বোমা রেখে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে।
তবে কোনো ষড়যন্ত্র বিচার বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর।
রোববার (৬ এপ্রিল) কয়েকটি মামলার শুনানি শেষে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিচার প্রক্রিয়ার ধীরগতির অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, তদন্তকারী সংস্থা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত সবচেয়ে জটিল ৩টি গোপন বন্দিশিবির উদঘাটন করেছে। এর মধ্যে ‘টিএফআই সেল’ নামে একটি আধা-আন্ডারগ্রাউন্ড কেন্দ্র রয়েছে, যা সুপরিকল্পিতভাবে গোপন করে রাখা হয়েছিল। এই কেন্দ্রগুলো দেয়াল তুলে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। দেয়ালগুলো তদন্তের সময় ভেঙে ফেলতে হয়।
তিনি আরও জানান, পুরো এলাকা আবর্জনায় ভরে দেওয়া হয়েছিল। তদন্তকারীরা নিজ হাতে সেগুলো পরিষ্কার করে অপরাধস্থল উন্মোচন করেছে। তিনি নিজেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এসময় তাজুল ইসলামসহ তদন্তকারী দলের সদস্যরা একটি বন্দিশালায় অজান্তেই ঢুকে পড়লে দেখতে পান, সেখানে বোমা পুঁতে রাখা হয়েছে, এমনকি কয়েকটি সেলে টাইমারও লাগানো ছিল। এটা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তদন্ত পরিচালনাকারীদের হত্যার সুস্পষ্ট চেষ্টা ছিল।
চিফ প্রসিকিউট বলেন, চাঁনখারপুল, আশুলিয়া ও গণঅভ্যুত্থানের সময় সারাদেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে ৩টি মামলার খসড়া তদন্ত প্রতিবেদন ইতোমধ্যে আমরা হাতে পেয়েছি। এর মধ্যে ২টি মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র চলতি মাসেই দাখিল করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এদিকে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত করার জন্য দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের যাত্রা শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন চিফ প্রসিকিউটর। সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।