রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় তার জামিন আবেদনে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২২ মে দিন ধার্য করেন আদালত।
সোমবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিন সকালে ফারিয়াকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় ফারিয়াকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে তার জামিনের বিষয়ে আরও শুনানির জন্য আগামী ২২ মে দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে, রোববার (১৮ মে) দুপুরে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তাকে ভাটারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে থানা থেকে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ভাটারা থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানী ঢাকার ভাটারা থানাধীন এলাকায় হওয়া এক হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা করেন এনামুল হক নামে এক ব্যক্তি। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সরকারসংশ্লিষ্ট ২৮৩ জন, অজ্ঞাতনামা তিন-চারশ জনের পাশাপাশি ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলাটি করেন এনামুল হক।
মামলায় ১৭ জন অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আসামিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করার জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগের সরকারকে বিপুল অর্থ যোগান দিয়েছেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অভিনয়শিল্পীরা অর্থ যোগানের কাজ করে। তবে মামলায় অন্য অভিযুক্তরা সরাসরি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিরোধী শক্তি হিসেবে কাজ করেন। তাদের ছোঁড়া গুলিতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বাদী এনামুল হকের ডান পায়ে গুলি লাগে। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে যান।
গত ২৮ এপ্রিল আদালতের আদেশের পরদিন ভাটারা থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়।