বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রিক বিভিন্ন মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সাত মন্ত্রী ও সাত এমপিসহ ২২ আসামি কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি হাজিরা গ্রহণ করেছেন আদালত।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান ভার্চুয়ালি তাদের হাজিরা নেন।
হাজিরা দেওয়া আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মো. নুরুজ্জামান আহম্মেদ, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক সংসদ সদস্য আহমেদ হোসেন, সোলায়মান সেলিম, আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী, মমতাজ বেগম, ড. ইঞ্জিনিয়ার মাসুদা সিদ্দিকা রোজী, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, রিয়্যার আডমিরাল মো. সোহাইল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. শহিদুল হক, সাবেক সহকারী পুলিশ কমিশনার তানজিল আহমেদ ও সাবেক ওসি আবুল হাসান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর লালবাগ, বাড্ডা, কাফরুল, ভাষানটেক, নিউমার্কেট, শাহবাগ, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও থানার বিভিন্ন মামলায় আসামিদের হাজিরার জন্য আজ দিন ধার্য ছিল।
আসামিদের আদালতে আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রায়শই নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখা দেয়। এ ছাড়া আসামিদের অনেকের প্রতি জনগণের প্রচণ্ড ক্ষোভ থাকায় জনগণ আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হয়ে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর চেষ্টা করেন। এ ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হিমশিম খেতে হয়। এ পরিস্থিতি অবসানের লক্ষ্যে আসামিদের কারাগারে রেখেই জুম প্ল্যটফর্ম ব্যবহার করে হাজিরা নেওয়া হয়েছে।