ঢাকার একটি আদালত টেলিগ্রামে পরিচালিত অনলাইন পর্নোগ্রাফি গ্রুপের অ্যাডমিন এবং নগ্ন ভিডিও বেচাকেনায় জড়িত অর্থ লেনদেনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন।
রোববার (১৯ অক্টোবর) আদালতের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন এই আদেশ দেন। এসব চক্রকে চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিবি পুলিশের সাইবার ও স্পেশাল ক্রাইম ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের জন্য একজন চৌকস ও দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশ দেন এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০(১)(সি) ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও বলেন।
আদালত এই আদেশ দেন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত ‘টেলিগ্রামে হাজারো তরুণীর নগ্ন ভিডিও বিক্রি’ শিরোনামের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে। প্রতিবেদনটিতে উঠে আসে, টেলিগ্রামে গোপনে পরিচালিত হচ্ছে অসংখ্য চ্যানেল ও গ্রুপ, যেখানে তরুণীদের ব্যক্তিগত ও গোপন ভিডিও বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রতি ১৫ দিন অন্তর তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী প্রতিবেদন জমার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ নভেম্বর ২০২৫। একইসঙ্গে, সংবাদ প্রতিবেদনটি যারা প্রকাশ করেছেন, তাদের তদন্তকালে সহযোগিতা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আদালতে উপস্থিত প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক রুকনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এই প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র আলোচনার জন্ম দেয়। বিভিন্ন মহল থেকে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে। জনস্বার্থ বিবেচনায় আদালত নিজ উদ্যোগেই বিষয়টি আমলে নেন।