জুলাই গণহত্যার বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আইনজীবী ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর একক বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়।
তবে এ বিষয় নিয়ে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে শুনানির জন্য আগামী রোববার (৩০ নভেম্বর) দিন ধার্য করা হয়েছে।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম ও প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
ট্রাইব্যুনালকে প্রসিকিউশন থেকে বলা হয়, গত ২৩ নভেম্বর একটি বেসরকারি টেলিভিশনে টকশোতে অতিথি হিসেবে যান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুর রহমান। ওই অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে নানা মন্তব্য করেন তিনি, যা আদালত অবমাননার শামিল।
এসময় ফজলুর রহমানের আর কোনো পরিচয় আছে কি না জানতে চান ট্রাইব্যুনাল। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি প্রার্থী বলে জানান প্রসিকিউটর তামিম।
একইসঙ্গে জুলাই বিপ্লব নিয়ে আগেও এমন বিরূপ মন্তব্য করার কারণে বিএনপি ফজলুর রহমানের পদ স্থগিত রেখেছে বলেও উল্লেখ করা হয়। পরে কোন আইনে অবমাননা করেছেন, তা পড়েন প্রসিকিউটর তামিম।
এসময় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ওই টকশোতে ট্রাইব্যুনাল নিয়ে মন্তব্য করা ফজলুর রহমানের কথাগুলো বাজিয়ে শোনানো হয়। পরে বাকি শুনানির জন্য নতুন দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল।
পরে এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আমরা আদালত অবমাননার একটি অভিযোগ এনেছি। তিনি এই ট্রাইব্যুনালের বিচার মানেন না বলে মন্তব্য করেছেন, যা শুরু থেকেই বলে আসছেন বলে জানিয়েছেন ওই টকশোতে। এখানে শেখ হাসিনার বিচার হতে পারে না এমন কথাও বলেছেন।
প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘বর্তমান ট্রাইব্যুনালের সব বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ফজলুর রহমান। অর্থাৎ অবজ্ঞা ও অবহেলা করেছেন। এছাড়া প্রসিকিউশন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তার এসব কথা একটি বিচারালয়ের জন্য বা বিচারকদের প্রতি অবমাননাকর।’