শেখ হাসিনার শেষ ৫ বছরে ১৬ হাজারের বেশি খুন

স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের শেষ পাঁচ বছরে সারাদেশে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ খুনের শিকার হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৯টির বেশি ও বছরে খুনের ঘটনা ঘটেছে ৩ হাজার ৩১১টি।

বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা অপরাধ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। পাঁচ বছরের বেশি সময় বন্ধ রাখার পর গত বৃহস্পতিবার পুলিশ এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করে।

পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাবে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ১৬ হাজার ৫৫৫টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এই হিসাবটা এসেছে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা থেকে। সাধারণত জোড়া খুন বা একসঙ্গে ততোধিক খুনের ঘটনায় একটি মামলা হয়।

এছাড়া শেখ হাসিনা সরকারের এই পাঁচ বছরে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ২ হাজার ৪৫২টি। আর চুরির অভিযোগে প্রায় ৫৫ হাজার মামলা হয়েছে।

এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার নবনিযুক্ত আইজিপি বাহারুল আলম এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় আইজিপি আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ পাঁচ বছর ৮ মাসের (২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত) তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের চতুর্থ মেয়াদ শুরু হয় ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে। জুলাই আন্দোলনের আগপর্যন্ত এ বছরের প্রথম ছয় মাসেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে খুন হয়েছে ১ হাজার ৫৩৩টি। আর ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় খুনের ঘটনা ঘটেছে সাড়ে ৩ হাজার। 

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমাতে শেখ হাসিনা সরকার নির্বিচার গুলি করে মানুষ হত্যা করে। এসব ঘটনায় বেশির ভাগ হত্যা মামলা হয়েছে আগস্ট মাসের পর। মামলার ভিত্তিতে পুলিশ যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, তাতে দেখা যায়, জুলাইয়ের খুনের ঘটনা ৩৩৪টি, আগস্টে ৬১৮টি।