শাবিপ্রবির উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এছাড়া তাদেরকে ক্যাম্পাসে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা করেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিবে এসব কার্যালয়ে তালা দেওয়া ও তাদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা হয় বলে জানান সমন্বায়ক দলের সদস্যরা।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কবির হোসেন চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন এবং রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে তালা দেন।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর, কন্ট্রোলার দপ্তর, হিসাব দপ্তর ও কলেজ ইনস্পেকটর কার্যালয়ে তালা দিয়ে অফিস কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা উপাচার্যের সহকারীকেও আজীবনের জন্য ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

এর আগে, বুধবার (৭ আগস্ট) উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ প্রশাসনিক বডির সকলকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বায়ক টিম। এসবম আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, যদি পদত্যাগ না করে তাহলে তাদেরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।

শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও আবাসিক হলগুলোর প্রভোস্ট বডির দায়িত্বরত শিক্ষকরা ইতিমধ্যে তাদের স্বপদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদত্যাগ করবে না বলে জানা যায়।

সার্বিক বিষয়ে শাবিপ্রবি সমন্বায়ক দলের সদস্য হাফিজুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসিসহ যারা আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, তাদের আমরা পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। যদি পদত্যাগ না করে আমরা তাদেরকে ক্যাম্পাস থেকে চিরজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত করব বলে ঘোষণা দিয়েছি। কিন্তু তারা নির্লজ্জ প্রশাসনের অনেকেই এখনও পদত্যাগ করেনি। তাই ছাত্র সমাজ তাদেরকে আজ থেকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত এবং প্রশাসনিক ভবন ও রুমগুলোকে স্থগিত ঘোষণা করছি।

তিনি আরও বলেন,  ছাত্রবান্ধব নতুন প্রশাসক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।