নিজ বিভাগের ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাসে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বাংলাদেশ অ্যান্ড মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে।
দীর্ঘ সময় প্রেমের সম্পর্ক করে অন্যত্র বিয়ে করায় ২০১৯-২০ সেশনের ওই ছাত্রী বুধবার (২৩ অক্টোবর) উপাচার্য বরাবর অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্র জানা যায়, ২০২২ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১৪ মার্চ ২০২৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ তিন মাস তিনি আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক জড়ানোর জন্য আমাকে মানসিক অত্যাচার করে। পরবর্তীতে আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না চাইলে তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তিনি আমার মায়ের নাম্বার জোগাড় করে আমার মাকে বুঝানোর চেষ্টা করেন কিন্তু আমার মাও নিষেধ করে দেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ, ২০২৩ সালের ১১ মার্চ তিনি তার পিএইচডি ছেড়ে আমার কারণে দেশে চলে আসেন। নানান বিষয় দেখে আমি উনার সঙ্গে সম্পর্কে যেতে রাজি হই। ২০২৪ সালের কুরবানি ঈদের সময় তিনি আমাদের বিষয়ে পরিবারে জানান এবং তার ভাষ্যমতে তার পরিবার রাজি হয়নি। এরপর বেশ কিছু দিন যাবত তিনি আমাকে বোঝাতে থাকেন উনার পরিবার অন্যত্র উনার জন্য পাত্রী দেখছেন, কিন্তু তিনি আমাকে চান। পরবর্তীতে ১৩ অক্টোবর চট্টগ্রামে তিনি অন্য একজনকে বিয়ে করেন যার সঙ্গে তার তিন মাস আগের থেকেই সম্পর্ক ছিল।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে বারবার কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ আমি বিস্তারিত শুনেছি এবং অভিযোগপত্র হাতে পেয়েছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি নির্মূল কমিটি রয়েছে। তারা এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন।অপরাধ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।