জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে টিপ পরে ঢোকা বহিরাগত যুবক আশরাফুল ইসলামের (যাযাবর পারভেজ) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাহায্যকারী, অভিযুক্ত ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে ।
মামলার বিষয় নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম সিদ্দিক বলেন, আসামি থানা হেফাজতে আছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) তাকে আদালতে চালান করে দেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, শনিবার রাতের ঘটনায় বহিরাগত যুবকের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে। আর অভিযুক্ত ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) জেফরুল হাসান চৌধুরী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় অভিযুক্ত যুবকের নামে মামলা করেন। এ ছাড়া ঘটনাটি তদন্তের জন্য নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের ওয়ার্ডেন সহযোগী অধ্যাপক হাবিবুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে হল প্রশাসন।
এর আগে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান হিম উৎসব দেখা শেষে অর্পার সহায়তায় হলে প্রবেশ করেন আশরাফুল। অর্পা আশরাফুলকে হলের তৃতীয় তলায় তার কক্ষে নিয়ে যান। তবে প্রবেশের সময় হল গেইটের গার্ড ও অন্যান্যরা যাতে টের না পায়, সেজন্য আশরাফুল কপালে টিপ ও গায়ের চাদর মুড়িয়ে প্রবেশ করেন। তবে ওই ছেলে কক্ষে গিয়ে চাদর খুলে ফেললে আশেপাশের কক্ষে থাকা ছাত্রীরা তাকে শনাক্ত করে।
এ সময় ছাত্রীরা আশরাফুলকে আটক করে হল প্রভোস্টের কক্ষে নিয়ে আসে। পরে হল প্রভোস্ট এসে প্রক্টরিয়াল বডিকে খবর দেয়। এক পর্যায়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে আশরাফুলকে সোপর্দ করা হয়। সেসময় হলের ক্ষুব্ধ ছাত্রীরা ওই যুবককে জুতাপেটা করে।
অভিযুক্ত আশরাফুল জানান, অর্পার সঙ্গে তার ফেসবুকে পরিচয়। হিম উৎসব দেখা শেষে থাকার জায়গা না থাকার কথা অর্পাকে জানান তিনি। তখন অর্পা তাকে হলে নিয়ে আসে।
অর্পা খন্দকার বলেন, ‘আশরাফুলের অন্য কোথাও থাকার জায়গা না থাকায় হলে নিয়ে আসি আমি।’