দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দক্ষ, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের উপাচার্য (ভিসি) হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার লক্ষ্যে একটি সার্চ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রাজনৈতিক বিবেচনা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র যোগ্যতা ও নৈতিক সততার ভিত্তিতে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপদস্থ সূত্রে জানা যায়, পাঁচ সদস্যের এই সার্চ কমিটির নেতৃত্ব দেবেন বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে থাকবেন-- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) দুজন সদস্য, একজন অভিজ্ঞ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বা বর্তমান উপাচার্য এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব।
কমিটির মূল দায়িত্ব হবে উপাচার্য পদে প্রার্থীদের যোগ্যতা, নেতৃত্বের দক্ষতা ও সততা যাচাই করা। প্রয়োজনে প্রার্থীদের পেশাগত ও ব্যক্তিগত ইতিহাস পর্যালোচনা করতে গোয়েন্দা প্রতিবেদনও সংগ্রহ করা হতে পারে।
২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে একই রকমের উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরবর্তীতে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এবার সরকার চাইছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত কয়েক বছরে কিছু উপাচার্যের নিয়োগ ও কর্মকাণ্ড বিতর্কিত হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক পরিবেশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। এবার আমরা নিশ্চিত করব যে, শুধুমাত্র প্রমাণিত সততা ও দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিরাই এই দায়িত্ব পাবেন।
সম্প্রতি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যকে অপসারণের ঘটনায় এই প্রয়োজনীয়তা আরও স্পষ্ট হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসন রক্ষা করে একাডেমিক পরিবেশ উন্নয়নে দক্ষ ও নীতিনিষ্ঠ নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এই সার্চ কমিটি অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুণগত শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।