জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ কর্তৃক শিক্ষককে অপমান ও তার সঙ্গে অসদাচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ চাওয়া হয়েছে।
রোববার (৩ আগস্ট) ) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তিনি (রেজিস্ট্রার) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু রায়হান সিদ্দিক স্যারের সাথে বাজে ব্যবহার করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে বলতে চাই জুলাই পরবর্তী সময়ে এ রকম স্বৈরাচারী আচরণ মেনে হওয়া হবে না। তিনি যদি স্বৈরাচার হয়ে উঠতে চান তাহলে তার অবস্থা ভালো হবে না।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় আমরা যখন কোনো যৌক্তিক প্রশ্ন বা সমস্যা নিয়ে তার দপ্তরে যাই তখন তিনি আমাদের সাথে সহানুভূতির পরিবর্তে তিনি বিরূপ এবং অপমানজনক ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান।’
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক বলেন, ‘ইউজিসি থেকে আমাকে দ্রুত সময়ে ত্রিপক্ষীয় চুক্তিপত্রের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়। আশা করেছিলাম এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মহোদয়ের কাছে গেলে তিনি আন্তরিকতার সাথে স্বাক্ষর করে দিবেন। এরপরও কয়েক দফায় সারাদিন ঘুরে যখন ওনার স্বাক্ষরের জন্য শেষবার যাই আবার কেন গিয়েছি জানতে চেয়ে তিনি লাঞ্চ করবেন বলে কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তার এমন ব্যবহারে খুবই হতবাক ও মর্মাহত হয়েছি। এমন দায়িত্বশীল পদে থেকে কারো সঙ্গে এমন ব্যবহার করা সমীচীন নয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু রায়হান সিদ্দিক ইউজিসি ফান্ডেড স্কলারশিপ পাওয়ার পর ইউজিসি প্রদত্ত শর্ত অনুযায়ী একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর নিতে গিয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে গেলে বাজে আচরনের শিকার হন। ওই শিক্ষককে নানাভাবে হেনস্তা করেন রেজিস্ট্রার গিয়াসউদ্দিন আহমদ।