চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণে নতুন করে পাস করেছে ৪ হাজার শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ফেল করা সাতজন সরাসরি জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া অন্যান্য গ্রেড থেকে আরও ১ হাজার ৪৫ জন শিক্ষার্থী নতুন করে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। সব মিলিয়ে পুনঃনিরীক্ষণে ফল পরিবর্তনের ঘটনা ঘটেছে ১৫ হাজার ২৪৩টি, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৭১ শতাংশ বেশি।
সম্প্রতি প্রকাশিত ১১টি সাধারণ ও বিশেষ শিক্ষা বোর্ডের পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন এবং ফল পরিবর্তনের ঘটনা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ৭১ শতাংশ।
সব বোর্ডের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণে এবার মোট ১৫ হাজার ২৪৩ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। ২০২৪ সালে এ সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৮৭৫ এবং ২০২৩ সালে ১১ হাজার ৩৬২। এক বছরের ব্যবধানে এ সংখ্যা বেড়েছে ৬ হাজার ৩৬৮ জন বা ৭১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি।
১১টি শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী,সবচেয়ে বেশি ফেল থেকে পাস করেছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে- ২ হাজার ৬৫৪ জন। এরপর মাদ্রাসা বোর্ডে ৯৯১ জন, ঢাকা বোর্ডে ২৯৩, ময়মনসিংহে ২১০, কুমিল্লায় ১৯০, রাজশাহীতে ৪৮, যশোরে ১৮৭, বরিশালে ২৬, চট্টগ্রামে ৬৪, সিলেটে ৩০ এবং দিনাজপুর বোর্ডে ৯৯ জন। ফেল থেকে সরাসরি জিপিএ-৫ পাওয়া ৭ জনের মধ্যে ঢাকা ও কারিগরি বোর্ডে ৩ জন করে এবং ময়মনসিংহে ১ জন রয়েছে।
এদিকে শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন জমা পড়া উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো- উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে ওঠানো হয়েছে কি না ও প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এসব পরীক্ষা করেই পুনর্নিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়। তবে পরীক্ষক কোনো প্রশ্নের উত্তরের জন্য যে নম্বর দিয়ে থাকেন সেটি পরিবর্তনের সুযোগ নেই।