চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষের ঘটনায় যৌথ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন।
এর আগে, বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট বাজারের পূর্ব সীমা থেকে রেলগেট পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে ১৪৪ ধারা জারি করেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন।
তবে যৌথ বাহিনী আসতে দেরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী মিলন হোসেন সরকার। তিনি বলেন, ‘আজ সকাল থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের ওপর হামলা চালাচ্ছিল। দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয়দের সঙ্গে সমঝোতা করতে গেলে প্রক্টর ও উপউপাচার্য প্রশাসন আহত হন। শিক্ষার্থীদের পাশে কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল না। যদি তারা আগে আসত, অনেক শিক্ষার্থী আহত হতো না। এর দায় সরকারকে নিতে হবে।’
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে গিয়ে উপউপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন, উপউপাচার্য প্রশাসন অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ আহত হন। ওই সময় শিক্ষার্থীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতের সংখ্যা প্রায় ৩০।