নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল কতৃক মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননার ঘটনার প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু আইনি পদক্ষেপের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় ধর্ম অবমাননার বিচারে সরকারের কাছে নতুন আইন বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।
সোমবার (৬ অক্টোবর) যোহরের নামাজ শেষে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাস ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় মিছিলটি।
এসময় পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী বায়তুল হক বলেন, ইসলাম আমাদের আবেগের জায়গা। এখানে কেউ আঘাত হানলে আমরা চুপ করে থাকবো না। কুরআন শরীফ ও নবীজীর অবমাননা করলে আমরা মেনে নিব না। সেই অপমানের যথাযথ জবাব দিবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
শাখা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জায়েদ বলেন, কুরআন অবমাননা করা মানে হলো আল্লাহকে অবমাননা কর। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিরুদ্ধাচারণ করা। আমাদের দাবি কুরআনকে যারা অবমাননা করবে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এই অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান করতে হবে।
শাখা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার বাপের হত্যাকারীদের আজীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল, কিন্তু সমগ্র মানবতার আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)- কে অপমানের শাস্তিতে কোনো আইন প্রণয়ন করেনি। নতুন সরকার আসলে তারাও হয়তো নতুন করে জাতির পিতা বানাবে। কিন্ত ৯০ শতাংশ মুসলিমের আকাঙ্ক্ষা বুঝবে না। আমরা ইন্টেরিম সরকারকে বলব, আপনার ব্লাসফেমি আইন প্রণয়ন করুন। ধর্ম অবমাননার শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড করুন। এমন নজির স্থাপন করুন যেন কেউ আর এই দুঃসাহস না করে।’
এসময় বিক্ষোভ মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।